বন্যায় সুনামগঞ্জে ২ লক্ষ ৬০ হাজার হেক্টর জমি প্লাবিত

সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় জেলার নদ নদীতে পানি কিছুটা কমেছে। মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৭২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

সুনামগঞ্জ শহরের পূর্বাঞ্চলের হাছননগর, ওয়েজখালী, কালীপুর, পূর্ব নতুনপাড়া, শান্তিবাগ এলাকার ঘর বাড়িতে পানি ওঠেছে।

জেলার ছাতক, দিরাই, শাল্লা, জামালগঞ্জ ও ধর্মপাশা উপজেলার কিছু এলাকায় নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক ভুইয়া জানালেন, সুরমা নদীর পানি মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় বিপদসীমার ৭২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সোমবার প্রবাহিত হয়েছিল বিপদসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে।

জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা ফরিদুল হক জানান, বন্যায় জেলার ২ লক্ষ ৬০ হাজার হেক্টর আবাদী জমি প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ লক্ষ ৪ হাজার মানুষ। ১২৬৩ হেক্টর আউস, ১২৫ হেক্টর আমন বীজতলা এবং ৪ কোটি ৬০ লক্ষ ৬১ হাজার ২ শত টাকার মৎস্য সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে হতে প্রাপ্ত বরাদ্দ থেকে ৬৮৫ টন চাল, ৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা এবং ৮ হাজার ৪ শ শুকনা খাবার প্যাকেট/কার্টুন উপজেলা পর্যায়ে উপ-বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব বরাদ্দ জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ, স্বেচ্ছাসেবী সাধারণ জনগণ সকলকে নিয়ে বিতরণ করা হচ্ছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলায় ১২২টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।