Sylhet Today 24 PRINT

২৭ মণ ওজনের ‘বাদশা’র দাম ১০ লাখ টাকা

এটিই এখন পর্যন্ত মৌলভীবাজারের সবচেয়ে বড় কোরবানির পশু

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি |  ০৯ আগস্ট, ২০১৯

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের হাসামপুরে লন্ডন প্রবাসী আব্দুল খালেদ নুর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ২২ টি ষাঁড় ও ২০ টি ছাগল নিয়ে শুরু করেন খামার। তার খামারে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে মোটা তাজা করা ষাঁড়দের মধ্যে একটির নাম বাদশা।

বাদশার ওজন ২৭ মন। যার দাম হাঁকানো হয়েছে ১০ লাখ টাকা। খামারের তত্বাবধানে থাকা আতিকুর রহমান দাবী এখন পর্যন্ত এটিই জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ ওজনের গরু।

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আমেরিকান ব্রামা জাতের বাদশা নামের এই ষাঁড়টিকে নিয়ে আব্দুল খালেদ নুর সখের বসেই শুরু করেন প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন প্রজাতির গরুর বলদ ও ছাগল মোটাতাজা করন। তার খামারের বয়স ১০ মাস। এখানে ৪ থেকে ৬ জন লোক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।

খামারের দেখাশোনা করেন আতিকুর রহমান চৌধুরী তিনি জানান, ৩০ লক্ষ টাকার পুঁজি দিয়ে শুরু করলেও এখন তার খামারের থাকা ৭টি গরু বিক্রি করলে অর্ধ কোটি টাকা পাওয়া যাবে।

তাঁর খামারে বিভিন্ন জাতের গরুর মধ্যে রয়েছে ব্রামা, নেপালি, শাহীওয়াল, সিন্ধি ও দেশীয়। গরুর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন প্রজাতির ছাগলও আছে তাঁর খামারে।

ছাগলের মধ্যে তোতাপুরি, যমুনাপারি, হরিয়ানা, বরবরি ও দেশীয় প্রজাতির ব্ল্যাকঙ্গেল রয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে অনেক ক্রেতাই এসেছেন গরুগুলো ও ছাগল দেখে দামাদামি করছেন।

বাদশার খাদ্যের তালিকায় রয়েছে উন্নত জাতের ঘাস, খৈল, ভুট্টা, গম, চাউলের গুড়ো ও ভূষি।

এখানে কাজ করেন সফিক মিয়া, তিনি বলেন তিনিসহ আরও কয়েকজন এই খামারে কাজ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে ভালই আছেন।

এলাকাবাসী আব্দুল মুহিত বলেন, খামারটি দেখার মত। এত অল্প সময়ে সকল জাতের গরু ও ছাগল পালন করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক নিয়মে ঘাস, খৈল, ভূষি, ভাতের ফেন ইত্যাদি খাইয়েও যে পশু মোটাতাজা করা যায় এটি তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

আতিকুর রহমান চৌধুরী বলেন,  গরুটি ক্রয় করতে অনেক ক্রেতারাই ভিড় করছেন। তবে যে কেউ খামারে আসলে গরুটি দেখে পছন্দ হলে কিনে নিতে পারবেন।

সার্বক্ষণিক তদারকি করেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ এর ভেটেরিনারি সার্জন ডা. গোলাম মোহাম্মদ মেহেদী জানান,  বাদশার ওজন ১ টনের কাছাকাছি এবং এই গরুটি সম্পূর্ণ দেশীও পদ্ধতিতে পালন করা হয়েছে। কোন ধরণের কেমিকেল ব্যবহার না করেও যে সফলভাবে গরু ও ছাগল মোটাতাজা করা যায় এটি তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

প্রবাসী আব্দুল খালেদ নুর বলেন, প্রথমত সখ থেকে গরু মোটাতাজা করনের জন্য খামারটি গড়ে তুলেন। প্রথমে ৪/৫ টি গরু দিয়ে শুরু করলেও এখন খামারে ২২ টি গরু ও ২০ টি ছাগল রয়েছে। তার এই খামারের মাধ্যমে এলাকার বেকার যুব সমাজকে কাজে লাগিয়ে বেকারত্ব দূর করাও তার লক্ষ। ভবিষ্যতে খামারটি আরও বিশালাকারে করার পরিকল্পনাও রয়েছে বলেও জানান তিনি।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.