Sylhet Today 24 PRINT

হবিগঞ্জে গরুর দাম বেশি, তবু জমজমাট বেচাকেনা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি  |  ১০ আগস্ট, ২০১৯

আর মাত্র এক দিন পরই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পবিত্র ঈদুল আযহা, যা কোরবানির ঈদ নামে পরিচিত। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে অনেক ক্রেতারাই কোরবানির প্রিয় পশুটি ক্রয় করেছেন। আবার অনেক ক্রেতারা পশু কেনার জন্য হাট বাজারে ভীড় জমাচ্ছেন। অনেককেই পছন্দের পশুটি কিনতে পশুর হাট ঘুরে ঘুরে দেখছেন।
 
তবে একেবারের শেষ মুহুর্তে এতে জমে উঠেছে হবিগঞ্জের পশুর হাটগুলো। চলছে দুমদাম বেচাকেনা। ক্রেতাদের অভিযোগ এবার ভারত থেকে কোন গরু না আসায় দেশীয় গরুর দাম কিছুটা বেশি। বিক্রেতারা বলছে এমনিতেই দেশীয় গরুর চাহিদা বেশী থাকে। তারপর এবার দেশীয় গো খাদ্য উপকরণের দাম বেশি হওয়ায় কিছুটা দাম বেশি বলেও স্বীকার করেন তারা। তবে ভারত থেকে গরু না আসায় এবারের ঈদে গরু বিক্রি করে লাভবান হওয়ার প্রত্যাশা বিক্রেতাদের।

জেলার আজমিরীগঞ্জ, হবিগঞ্জ শহর, শায়েস্তাগঞ্জ, চুনারুঘাট ও বাহুবল ও নবীগঞ্জসহ সবকটি উপজেলায় কোরবানির পশু বিক্রির জন্য প্রায় শতাধিক ছোট বড় হাট গড়ে উঠেছে। আর এসব হাটে প্রতিদিনই বিক্রি হচ্ছে গরু, ছাগল, বেড়া ও মহিসসহ বিভিন্ন ধরণের পশু। তবে বড় ধরণের পশু থেকে মাঝারি ও ছোট সাইজের পশুই বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এর মধ্যে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা দামের দেশীয় গরুর চাহিদা ব্যাপক।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, হবিগঞ্জ শহরের বগলা বাজার এলাকার গরু ব্যবসায়ী শামীম আহমেদ ১৯টি গরু নিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে প্রায় ১৮ মন ওজনের ১টি গরুর দাম হাঁকা হয়েছে সাড়ে ৬ লাখ টাকা।

তিনি জানান, গরুটির দাম উঠেছে সাড়ে ৪ লাখ টাকা। ৫ লাখ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা দাম হলে তিনি তার এ বিশাল গরুটি বিক্রি করবেন বলেও জানান তিনি। গরু ব্যবসায়ী আব্বাস উদ্দিন জানান, তিনি ২৫ টি গরু বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে একটি গরুর দাম হাঁকা হয়েছে ৬ লাখ টাকা। অন্যান্য গরু ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা দামে বিক্রি করবেন।

ক্রেতা ইকবাল আহমেদ জানান, কোরবানীর গরু ক্রয় করতে বাজারে এসেছিলাম কিন্তু গরুর পাইকাররা দাম ছাড়ছেন না। গরুর দাম যাচাই-বাছাই করছি। দামে ধরে মিললেই গরু ক্রয় করে নিয়ে যাবো। ক্রেতা আলী আহমেদ জানান, তিনি বাজারে কোরবানী গরু ক্রয় করতে এসেছেন। তবে এবার গরুর দাম কিছুটা বেশি। তিনি বলেন, গত বছর যে গরুর মূল্য ২৫/৩০ হাজার টাকা ছিল। এ বছরে এ ধরণের গরুর মূল্য ৪০/৪৫ হাজার টাকা দাম হাকা হচ্ছে। বড় বড় গরুর গত বছর যেটি ১ লাখ ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে সেই গরু এ বছর আড়াই থেকে পৌনে ৩ লাখ দাম চাচ্ছেন পাইকাররা।

ইজারাদার মুকুল ভট্টাচার্য্য জানান, ঈদ উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন স্থানে ছোট-ছোট বিশেষ গরুর হাট বসার কারনে গ্রামের ক্রেতারা সেদিকেই ঝুঁকছেন। ফলে স্থায়ী বাজার গুলোতে বেচা-কেনা কম হচ্ছে। তবে শেষ মুহুর্তে এসে বেচা কেনা বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
হবিগঞ্জ জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, জেলার প্রতিটি হাট বাজার সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। কোথাও কোন গরু বা পশু অসুস্থ হলে তাক্ষণিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

হবিগঞ্জের অ্যাডিশনাল এসপি মোঃ রবিউল ইসলাম, গরুর বাজারগুলোতে পুলিশের বিশেষ নজরদারি রয়েছে। যাতে করে কোন ধরণের চাদাবাজি বা পশুর গাড়িয়ে আটকিয়ে টাকা আদায়ের মত ঘটনা না ঘটে সে জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.