Sylhet Today 24 PRINT

বিয়ের প্রলোভনে গৃহকর্মীকে ‘ধর্ষণ-নির্যাতন’, ‘অন্তঃসত্ত্বা হয়ে’ হাসপাতালে

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি |  ২১ আগস্ট, ২০১৯

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আট মাস ধরে এক কিশোরী গৃহকর্মীকে (১৭) ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়া এ কিশোরীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

কিশোরীর পারিবারিক অভিযোগ করে বলেন, “নবীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা হুমায়ুন মিয়া (২২) সিলেট উপশহরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। প্রায় আট মাস আগে হুমায়ুন নিজ এলাকার ওই কিশোরীকে তাঁর বাসায় কাজের জন্য নিয়ে যান। এক পর্যায়ে মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন হুমায়ুন। এই আট মাসে একাধিকবার ধর্ষণে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। মেয়েটি বিয়ের জন্য হুমায়ুনকে চাপ দিলে হুমায়ুন গর্ভের সন্তান নষ্ট করার পরামর্শ দেন। কিন্তু মেয়েটি তা করতে না চাইলে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন হুমায়ুন।

এদিকে গত শনিবার (১৭ আগস্ট) মেয়েটি আবারও বিয়ের জন্য চাপ দিলে হুমায়ুন কিশোরীটি হাত পা বেঁধে মারপিট করেন। এর একপর্যায়ে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়ে। পরে রোববার (১৮ আগস্ট) ভোরে কিশোরীটিকে নবীগঞ্জ উপজেলার বিবিয়ানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যান হুমায়ুন।

পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। সোমবার সকালে তাকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক মেয়েটিকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠান।

কিশোরীর মা বলেন, “আমাদের অভাবের সুযোগে হুমায়ুন মিয়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। হুমায়ুন গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য আমার মেয়ের ওপর অমানবিক নির্যাতন করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় এখন আমার মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।”

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি, এখনো মামলা করা হয়নি। অভিযোগ দিলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।”

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.