Sylhet Today 24 PRINT

কমদমতলীতে নতুন করে এডিস মশার লার্ভা’র সন্ধান, জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক |  ২২ আগস্ট, ২০১৯

সিলেটে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও নগরীতে নতুন করে এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া গেছে।

নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ডের দুটি এলাকায় এডিস মশার লার্ভা ও পূর্ণাঙ্গ মশার সন্ধান পেয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)।

বৃহস্পতিবার (২২ আগষ্ট) বেলা সোয়া ১২টার দিকে চলমান এডিস মশা নিধনে পরিচালিত সিসিকের অভিযানে নতুন করে এ দু’টি এডিস মশার লার্ভার সন্ধান মিলে। এরআগে এই মাসের শুরুতে একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে এডিস মশার লাভার সন্ধান পেয়েছিলো সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়।

সিসিকের জনসংযোগ শাখা জানায়, বৃহস্পতিবার অভিযান চলাকালে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটিকে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। অন্য প্রতিষ্ঠানের পুরাতন টায়ার, টিউব সহ পানি জমে থাকার কারণে বেশ কিছু আশবাবপত্রও জব্দ করা হয়।

অর্থদন্ড প্রদানকারী প্রতিষ্ঠনগুলো হলো- ঢাকা মটরস ৫০ হাজার, টায়ার মার্কেট ১২ হাজার। এছাড়া ভাইভাই মটরস নামের প্রতিষ্ঠানের মালামাল জব্দ করা হয়।

এদিকে, সিলেটে নতুন করে এডিস মশার লার্ভা নতুন করে সন্ধান পাওয়ায় ডেঙ্গু নিয়ে ফের দেখা দিয়েছে আতংক।

তবে আতংকিত না হয়ে নগরীতে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনার না ফেলা, টায়ার, টিউব, ফুলের টবে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করার আহ্বান জানিয়েছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। অন্যথায় এভাবে অভিযান পরিচালনা করে অর্থদন্ড করা হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে ২৫ জুলাই মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নগরীতে পক্ষকাল ব্যাপী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও  এডিস মশা নিধন অভিযান শুরু করেন। এসময় তিনি নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের নাগরীকদের জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বাসা-বাড়ি দোকানপাঠ সহ সকল প্রতিষ্ঠানের চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে অনুরোধ করেন। অন্যতায় অপরিস্কার-অপরিচ্ছন্নতার বিরুদ্ধে সিটি কর্পোরেশন অভিযান চালাবে বলেও নগরবাসীকে সতর্ক করেন তিনি।

অভিযান শেষে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান সিসিকের ২৫,২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এই ওয়ার্ডগুলো অতিক্রম হয়েই নগরীতে প্রবেশ করতে হয়। এখানে ট্রেন স্টেশন, বাস টার্মিনাল, ট্রাক টার্মিনাল থাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য টায়ার টিউবের দোকান। এসব দোকানের সামনে স্তুপ আকারে থাকা গাড়ির টায়ারের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া গেছে। অনেক স্থানে পূর্ণবয়স্ক মশার সন্ধানও মিলেছে। এ থেকে ধারণা করা যাচ্ছে, এডিস মশার লার্ভা এই ওয়ার্ডগুলোর বিভিন্ন স্থানে থাকতে পারে। তিনি জানান, সিটি কর্পোরেশন এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস সহ সকল প্রকার মশা নিধনে অভিযান অব্যাহত রাখবে।

সিসিকের  প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী এডিস মশা ও লার্ভার সন্ধান পাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, মশার ডিম থেকে লার্ভার সৃষ্টি হয়। লার্ভার পর তিনটি ধাপে ৮-৯ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ মশায় রূপ নেয়। মশা নিধনে শুধু ওষুধ দিলে হবে না, এজন্য সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।  

অভিযানকালে সিসিকের প্যানেল মেয়র-১ তৌফিক বক্স লিপন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম সুমন, জেলা কীটতত্ববিদ মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক জেলা স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক আক্তারুজ্জামান, সিসিকের প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অ্যান্টোমোলজি টেকনিশিয়ান সহ সিসিকের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। 

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.