ট্রেনের ছাদে চড়ায় শায়েস্তাগঞ্জ থেকে ১৪ যাত্রী আটক, কারাগারে প্রেরণ

ফাইল ছবি

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনে ট্রেনের ছাদ থেকে ১৪ যাত্রীকে আটক করেছে রেলওয়ে পুলিশ।

শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে আটককৃতদের বিরুদ্ধে ১৮৯০ সনের রেলওয়ে আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদ থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় আরও বেশ কিছু যাত্রী ট্রেনের ছাদ থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে পালিয়ে যায়।

আটককৃতরা হলেন- সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ইসমাইল হোসেনে পুত্র লিটন আহমেদ (২৩), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ঘারুয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পুত্র রাকিবুল ইসলাম (১৯), বালাগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ অরিসা গ্রামের মুক্তার আলীর পুত্র শাকিল মিয়া (১৮, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার দেওগাও গ্রামের কাজল দেবের পুত্র অমল দেব (১৮), শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর গ্রামের মোস্তফা মিয়ার পুত্র রাজু মিয়া (১৮, আহাদ মিয়ার পুত্র সাজু মিয়া (১৮), লামুয়া গ্রামের বাহার আলীর পুত্র শাওন মিয়া (২৮), সিন্দুরখাল গ্রামের মোঃ শাহআলম (১৯), হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার রানীগাও গ্রামের আফতাব উদ্দিনের পুত্র মামুন মিয়া (১৮), মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার টিলাগাও গ্রামের ইয়াসিন মিয়ার পুত্র শাহীন মিয়া (২৫)। বাকী চার জনের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম খান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ট্রেনের ছাদে চড়া মানেই অপরাধ। রেল মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকারীদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করার জন্য এক প্রজ্ঞাপনের আদেশ পালন করতেই এই অভিযান। ১৮৯০ সনের রেলওয়ে আইনে আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

হবিগঞ্জের আদালত পরিদর্শক আল আমিন জানান, আটককৃত ১৪জনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। শনিবার বন্ধ থাকায় আসামীদের জামিন শুনানি হয়নি।