Sylhet Today 24 PRINT

ধর্মীয় আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি |  ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ধর্ষক ফরিদ মিয়া

১০ বছর আগে ছাতকের রাধানগর গ্রামের গৃহকর্তাকে ধর্মীয়ভাবে মামা আর তার স্ত্রীকে খালা ডাকেন অটোরিকশা চালক ফরিদ মিয়া (২৮)। এরপর গত রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ফরিদ মিয়া তার বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে ধর্ষণ করেন ধর্মীয় ওই মামার প্রতিবন্ধী বড় মেয়েকে। ঘটনার সাতদিনের মাথায় গত (৭ সেপ্টেম্বর) শনিবার রাতে ফরিদকে অভিযুক্ত করে বিশ্বনাথ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতা ওই প্রতিবন্ধী যুবতী, (মামলা নং ৬)।

মামলার প্রেক্ষিতে রোববার ভোররাতে ধর্ষক ফরিদ মিয়াকে (২৮) গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।

পেশায় অটোরিকশাচালক ফরিদ সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার কোনাউরা (নোয়াগাঁও) গ্রামের চেরাগ আলীর ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে আত্মীয়তার পর একে অপরের বাড়িতে যাওয়া আসায় কেটে যায় আরও ৪ বছর। তারপর ২০১৩ সালে ধর্মীয় ওই মামার প্রতিবন্ধী মেয়ের (২১) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন ফরিদ। সম্পর্ক গভীর হতে কেটে যায় আরও ৫ বছর। সম্পর্ক গভীর হওয়ার পর গত ৪ বছর ধরে প্রতিবন্ধী ভাতাও আত্মসাৎ করেন ফরিদ। অবশেষে চলতি ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর রোববার ফরিদ মিয়া তার বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে ধর্ষণ করেন ওই প্রতিবন্ধী মামাতো বোনকে।

এরপর তাকে তার বাড়িতে পাঠানো হলে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই যুবতী। পরবর্তীতে ৪ সেপ্টেম্বর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয় তাকে। এরপর ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেন ওই প্রতিবন্ধী যুবতী।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার বাদী ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী যুবতী বলেন, তার বাবাকে ধর্মীয় মামা আর মাকে ধর্মীয় খালা ডেকে সরল বিশ্বাসে তার সর্বনাশ করেছেন ফরিদ মিয়া।

এ জন্য ফরিদের কঠোর শাস্তির দাবিও করেছেন নির্যাতিতা ওই যুবতি।

বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, মামলার প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবেই অভিযুক্ত ফরিদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.