Sylhet Today 24 PRINT

বিশ্বনাথে জমি দখল নিয়ে হামলার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি |  ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

সিলেটের বিশ্বনাথে সৌদি প্রবাসীর ২৩ শতাংশ জমি দখল করতে গিয়ে ওই প্রবাসী ও তার পরিবারের উপর হামলা করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় থানায় দু’পক্ষে পাল্টাপাল্টি মামলাও করা হয়েছে। পৃথক মামলায় স্কুল ও কলেজছাত্র এবং নারীসহ উভয় পক্ষে ৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

জমির মালিক সৌদি প্রবাসী মখলিছ আলী উপজেলার পৌদনাপুর গ্রামের মৃত রইছ আলীর ছেলে। আর প্রতিপক্ষ গৌছ আলী একই গ্রামের মৃত আশ^দ আলীর ছেলে। গত বুধবার সকাল ১১টায় পৌদনাপুর মৌজার ২১৫ নং খতিয়ানের ৭১ নং দাগের প্রবাসী মখলিছ আলীর জায়গা পরিকল্পিতভাবে দলবল নিয়ে দখল করতে গিয়ে গৌছ আলী, ইব্রাহিমসহ তার পক্ষের লোকজন ওই প্রবাসী মখলিছ আলী ও তার পরিবারের উপর হামলা করেন।

হামলায় মখলিছ আলী (৪৮), তার ছেলে সাইদুর রহমান নাইম (২০) ও সাইমুর রহমান সাইম (২০) ও প্রতিপক্ষ গৌছ আলীর নাতি ইব্রাহিম আলী (৩০) আহত হন।

হামলার পর স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল ওদুদ ও সালিশ ব্যক্তিত্ব মতছিন আলী, রশিদ আলীসহ গ্রামের পঞ্চায়েতরা বিষয়টি আপোষে নিষ্পত্তির চেষ্টা করেন। আর এ বিষয়টি আপোষে নিষ্পত্তির জন্য থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ওসি শামীম মুসাসহ থানা পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন। কিন্তু প্রথমে উভয় পক্ষ সালিশের বিষয়ে সম্মতি জানালেও পরক্ষণে গোপনে বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পুলিশের সঙ্গে আঁতাত করে গৌছ আলী পক্ষ মামলা করেন বলে অভিযোগ করা হয়।

এদিকে সালিশকারী ও পঞ্চায়েত পক্ষের নির্দেশ অমান্য করে প্রবাসী পরিবারের উপর মামলা করায় প্রবাসী মখলিছ আলী পক্ষেও পাল্টা মামলা করা হয়।

গত ৮ সেপ্টেম্বর রোববার রাতে প্রবাসী মখলিছ আলীর বড় ছেলে কলেজছাত্র সাইদুর রহমান নাইম বাদি হয়ে দখলকারী পক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করেন, (মামলা নং ০৮)। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, গৌছ আলী (৭৫), তার স্ত্রী তেরাবান বিবি (৪৮), গৌছ আলীর নাতি ওয়ারিছ আলীর ছেলে ইব্রাহিম আলী (৩০), ইব্রাহিমের মা সাহেদা বেগম (৪৮) ও বোন পারভীন বেগম (৩০)।

গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে গৌছ আলীর নাতি ইব্রাহিম আলী দায়ের করা ৫নং মামলায় দু’জন অজ্ঞাতনামা আসামি রেখে প্রবাসী মখলিছ আলী, তার ছেলে বিশ^নাথ সরকারি কলেজের ছাত্র সাইদুর রহমান নাইম, মখলিছ আলীর ভাই আখলিছ আলী ও তার ছেলে শফাত উল্লাহ হাইস্কুলের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র নাবিদ আহমদকে অভিযুক্ত করা হয়।  

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল ওদুদ জানান, বিষয়টি এলাকার মুরব্বীদের নিয়ে সালিশির মাধ্যমে শেষ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু গৌছ আলী পক্ষ প্রথমে রাজি হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু সালিশকারীদের না জানিয়ে থানায় গোপনে মামলা করেছেন।  

এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শামীম মুসা বলেন, উভয় পক্ষের মামলা নেওয়া হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তবে, আপোষে নিষ্পত্তি করতে চাইলে এতে পুলিশের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.