Sylhet Today 24 PRINT

নবীগঞ্জে ওসি-এসআইকে কোপানো ছাত্রলীগ নেতা অধরা, বোনসহ ৪ জন কারাগারে

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি |  ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থানার ওসি-এসআইসহ ৪ পুলিশ পুলিশ কর্মকর্তাতে কুপিয়ে আহত করা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাহ সোহান আহমেদ মুছাকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে মুসার বাড়ি থেকে তাল পরিবারের ৪ সদস্যকে আটক করে শুক্রবার জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শাহ সোহান আহমেদ মুছাকে গ্রেপ্তার করতে যায় পুলিশ। এ সময় মুছা ও তার সঙ্গীদের দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমার দাশ (৪০), এসআই ফখরুজ্জামান (৩৫) ও দুই কনষ্টেবলকে। আশংকাজনক অবস্থায় উত্তম কুমার দাশকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মুছার বোনসহ ৪ জনকে আটক করে। আটককৃতদের শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন জানান, আটক ৪ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে এবং সন্ত্রাসী মুছাসহ অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জানা যায়, এরআগে ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি মাসে পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথবাহিনীর সন্ত্রাসী মুছার পুরো বাড়ি ঘিরে ফেলে। প্রায় ২ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে মুছাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় যৌথবাহিনী। এ সময় মুছার স্বীকারোক্তিতে ৫৬৭ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

যেভাবে দুর্ধর্ষ হয়ে উঠে মুছা: ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে খুন হন ছাত্রলীগ নেতা হেভেন। ওই হত্যা মামলার আসামী ছিলেন মুসা। উক্ত হত্যাকান্ডের পর থেকেই চরম বেপরোয়া হয়ে উঠে মুছা। এর পর থেকে সে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে নবীগঞ্জ শহরসহ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
সম্প্রতি সে দিন-দুপুরে নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোডের হীরা মিয়া গালর্স স্কুলের সামনে প্রকাশ্যে অস্ত্র দেখিয়ে ৩টি দোকানে হামলা, ভাংচুর, লুটপাটসহ ৩টি মোটর সাইকেলসহ ৭ লাখ টাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর বিকালে মুছা শ্রমিক নেতা হেলাল আহমদের বাড়ির সীমানায় বেড়া দিয়ে ওই পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এ বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসআই সুজিত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে মুছা ও তার পরিবারের সদস্যদের রোষানলে পড়ে। এক পর্যায়ে মুছাকে গ্রেপ্তার না করে ফিরে আসতে বাধ্য হয় পুলিশ।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.