Sylhet Today 24 PRINT

শ্রীমঙ্গলে বিপন্ন প্রজাতির মেছোবাঘ উদ্ধার

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি |  ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া চা বাগানের মসজিদের মুয়াজ্জিনের পাতানো ফাঁদে ধরা পড়েছে একটি বিপন্ন প্রজাতির মেছোবাঘ।

রোববার ( ২২ সেপ্টেম্বর) ভোরে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া চা বাগানে মো. রজব আলীর ( ৫৫ ) পাতানো ফাঁদে আটকা পরে মেছোবাঘটি।

জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে ভাড়াউড়া চা বাগানের মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. রজব আলীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের পালিত হাঁস-মোরগ নিখোঁজ হচ্ছিল। এক পর্যায়ে রজব আলী শনিবার রাতে তার নিজ বাড়িতে জাল পেতে একটি ফাঁদ তৈরি করেন। সেই পাতানো ফাঁদে রোববার ভোরে মেছোবাঘটি আটকা পরে। সকালে আটককৃত মেছোবাঘটিকে স্থানীয়দের সহায়তায় বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব জানান, বনে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়াতে প্রায়ই বন্যপ্রাণী গুলো খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে ছুটে আসছে এবং মানুষের গৃহপালিত পশু-পাখি নিধন করে। কখনও বা মানুষের হাতে মারাও পড়ছে প্রাণীগুলো।

স্থানীয় বাসিন্দা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি নুর মোহাম্মদ জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকার মানুষের ঘরের পশুপাখি নিখোঁজ হচ্ছিল। এ নিয়ে আমরা চিন্তিত ছিলাম বাঘটি ধরা পড়ায় এলাকায় স্বস্তির নিশ্বাস পড়েছে।

মৌলভীবাজারের বন ও বন্যপ্রাণী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন জানান, মেছোবাঘ আসলে বাঘরোল বা মেছো বিড়াল নামেও পরিচিত (ইংরেজি: Fishing Cat), (বৈজ্ঞানিক নাম:Prionailurus viverrinus)এটি মাঝারি আকারের বিড়ালগোত্রীয় একধরণের স্তন্যপায়ী বন্যপ্রাণী। ব্রাজিল, কোস্টারিকা, বাংলাদেশ, ভারত, বলিভিয়া, ক্যাম্বোডিয়া, লাউস, শ্রীলঙ্কায় এরা স্থানীয়ভাবে বাঘরোল নামে পরিচিত। এদের আবাসস্থল থাইল্যান্ড ও এল সালভাদোর। বিগত কয়েক দশকে বাঘরোলের সংখ্যা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। জনবসতি স্থাপন, কৃষিজমিতে রূপান্তর ও অন্যান্য কারণে বাঘরোলের আবাসস্থল জলাভূমিগুলো দিন দিন সংকুচিত ও হ্রাস পাওয়াই এর মূল কারণ। তাই আইইউসিএন(আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ) ২০০৮ সালে মেছোবাঘকে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.