Sylhet Today 24 PRINT

রাজনগরে ব্যবসায়ীকে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

কুলাউড়া প্রতিনিধি |  ১৭ অক্টোবর, ২০১৯

মৌলভীবাজারের রাজনগরে রাস্তার জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে ব্যবসায়ীকে ভূমি দখল, গাছ কাটা ও চুরির মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ ওঠেছে। সম্প্রতি জেলার রাজনগর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের বাঙালি গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে ব্যবসায়ী সেলিম আহমদ মামলার পর সামাজিক সম্মানহানি ও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০০৫ সালে উপজেলার বাঙ্গালী গ্রামে সেলিম আহমদের পৈত্রিক বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণের সময় পার্শ্ববর্তী বাড়ির আব্দুল খালিকের সাথে আলাপ আলোচনা সমঝোতার ভিত্তিতে পশ্চিম পাশে রাস্তা করার জন্য কিছু জায়গা রেখে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন।

সম্প্রতি ওই রাস্তার জায়গা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। আব্দুল খালিক ও তার ছেলে আবুল কালাম আজাদ ওই রাস্তায় চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বেড়া দেন বলে অভিযোগ করেন সেলিম আহমদ। আব্দুল খালিকের চাচাতো ভাই আনিছ মিয়া গত ৫ সেপ্টেম্বর মারা যান। ওইদিন সেলিম আহমদ তার জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করেন ও বক্তব্য দেন।

সেলিম আহমদ বলেন, অথচ ওইদিন বিরোধপূর্ণ জায়গার দখল, গাছ কাটা ও গাছ চুরির অভিযোগ এনে ৯ সেপ্টেম্বর তিনি ও তার কয়েকজন আত্মীয়-স্বজনকে আসামি করে মৌলভীবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন আব্দুল খালিকের ছেলে আবুল কালাম আজাদ। ওই মামলা দায়েরের ২ দিন পর বিরোধপূর্ণ রাস্তায় চলাচল ও ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মৌলভীবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরও একটি মামলা করেন আব্দুল খালিক।

সেলিম আহমদ আরও বলেন, ওই মামলায় ঘটনার যে সময় উল্লেখ করা হয়েছে সেই সময় আমি সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বাংলাদেশ ফার্মাসিস্ট কাউন্সিল আয়োজিত একটি কর্মশালায় উপস্থিত ছিলাম।

তিনি বলেন, আমার পরিবার ও স্বজনদের বিরুদ্ধে পরপর দুটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের সামাজিক মর্যাদাহানি করছেন আব্দুল খালিক ও তার পরিবারের সদস্যরা। এঘটনায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন শাহ উস্তার উদ্দিন আহমেদ, ডা. জাকির হোসেন মুন্না প্রমুখ।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.