Sylhet Today 24 PRINT

বিয়ানীবাজার উপজেলা আ. লীগকে ‘রাজাকারমুক্ত’ রাখার দাবি

সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০৯ নভেম্বর, ২০১৯

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগকে রাজাকার, আলবদর মুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছে সিলেটে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে রাজাকার-আলবদর ও তাদের সন্তানরাও যাতে স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের কমিটিতে ঠাঁই না পায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহবান জানানো হয়।

শনিবার (৯ নভেম্বর) বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে মুক্তিযোদ্ধারা সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান। বিয়ানীবাজারের সুপাতলা গ্রামের বাসিন্দা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী লিখিত বক্তব্যে এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তারা জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কেন্দ্রীয় ও সিলেট আওয়ামী লীগের নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিয়ানীবাজারের নন্দীর ফল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মাজন আলী, গোঙ্গাদিয়া যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন, শ্রীধরা গ্রামের যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আলি গ্রাম, আবংগী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘রাজাকার ও আল বদর মুক্ত আওয়ামী লীগের কমিটি হলে বিয়ানীবাজারের মানুষ সুযোগ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি সঠিক সেবাও পাবে। নতুবা লুটপাটকারীদের দখলে চলে যাবে বিয়ানীবাজার আওয়ামী লীগ।’

সিলেটের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে প্রকাশিত রণাঙ্গন-৭১ এর বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বিয়ানীবাজার আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি আব্দুল হাসিব মনিয়া ও শান্তি কমিটির সদস্য কুটুচান্দ মেম্বারের ছেলে, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়ালকে অপসারণের দাবি জানানো হয়।

‘রণাঙ্গন-৭১ বইয়ের বিয়ানীবাজারের আল বদরের তালিকায় ২৩৩ নং ক্রমিকে রয়েছে বিয়ানীবাজারের খাসা দিঘীরপাড়ের আব্দুল খালিকের পুত্র আব্দুল হাসিব মনিয়ার নাম। বইতে উল্লেখ আছে- তিনি ১৯৭১ সালের ১৭ জুলাই স্থানীয় সুন্দীর পিতা জামাল উদ্দিন হত্যার অন্যতম সদস্য। তালিকার ২২৩ নম্বরে রাজাকার হিসেবে উল্লেখ আছে আব্দুল হাসিব মনিয়ার পিতা আব্দুল খালিকের নাম। অথচ গত ১৬ বছর ধরে আব্দুল হাসিব মনিয়া বিয়ানীবাজার উপজেলার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমাদের কাছে এর চেয়ে লজ্জা ও অপমানের আর কী হতে পারে।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তালিকায় ২২১ নম্বরে রয়েছে শান্তি কমিটির সদস্য চন্দগ্রামের কুটুচান্দ মেম্বারের নাম। এই কুটুচান্দের ছেলে হচ্ছে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল। একাত্তরের শান্তি কমিটির সদস্যের সন্তান হয়ে সে বীরদর্পে আওয়ামী লীগ নেতা হয়ে বিয়ানীবাজারে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছে। আউয়াল আওয়ামী লীগের নাম ও পদবি ব্যবহার করে আমাদের সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে বিয়ানীবাজার রাজত্ব করেছে। আওয়ামী লীগের এই তিন টার্মের শাসনামলে সে বিয়ানীবাজারে উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছে। শত শত কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগে ইতিমধ্যে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি- কোনো মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কখনোই দেশে লুটতরাজের রাজত্ব কায়েম করতে পারে না। একমাত্র দেশ বিরোধী পরিবারের সন্তানদের দ্বারা এটি সম্ভব।’

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.