Sylhet Today 24 PRINT

নবীগঞ্জে বিল নিয়ে বিরোধ মিটল দুই পক্ষের

জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বৈঠক

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি |  ০৯ নভেম্বর, ২০১৯

হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার সুজাপুরের বেরী বিল নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ মিটেছে। শনিবার (৯ নভেম্বর) জেলার বাহুবলে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সমঝোতা বৈঠকে এই বিরোধ শেষ হয়।

সুজাপুরের বেরী বিলের অংশিদারিত্ব নিয়ে মায়ের দোয়া মৎস্যজীবী সমিতির লোকজনের মাঝে দুই পক্ষের সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুইপক্ষের বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেন। তাৎক্ষণিক পুলিশের মধ্যস্থতার কারণে বিবাদমান পক্ষ দুটি’র মধ্যে সংঘর্ষ এড়ানো গেছে।

বৈঠকে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (বাহুবল সার্কেল) পারভেজ আলম চৌধুরী, নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামসুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক ছাড়াও বিবাদমান দুই পক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।  

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলার বাউসা ইউপির সুজাপুরের বেরী বিল জলমহালটি মন্ত্রণালয় থেকে ১৪২৬-১৪৩১ বাংলা সন মেয়াদের জন্য উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মায়ের দোয়া মৎস্যজীবী সমিতিকে ইজারা প্রদান করা হয়। ওই গ্রামের বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক আব্দুল লতিফ গ্রামের ২৯ ব্যক্তিকে সদস্য করে এ সমিতি গঠন করেছিলেন। সমিতির সভাপতি আবু মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের নামে বিলের ইজারা গ্রহণ করা হয়। সমিতির সদস্যদের না জানিয়ে সভাপতি ও সম্পাদকের সম্মতিতে শিক্ষক আব্দুল লতিফের নামে ১২ আনা শেয়ার বিক্রি করা হয়। হঠাৎ করে সমিতির শেয়ার বিক্রি করা, সমিতির লাভ ও অংশিদারিত্ব নিয়ে সমিতির সদস্যদের মাঝে বিরোধ দেখা দেয়। ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সদস্যদের মাঝে সৃষ্টি হয় দুটি পক্ষ। এরমধ্যে বিলে মাছ শিকারের প্রস্তুতি নেয় একটি পক্ষ। সুবিধাবঞ্চিত পক্ষটির ৬ সদস্যের পক্ষে কনা মিয়া বাদী হয়ে হবিগঞ্জের বিজ্ঞ আদালতে ১৪৪ ধারায় অভিযোগ দেন। পরে আদালতের নির্দেশে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কায় গত মঙ্গলবার ১৪৪ ধারার নোটিশ জারি করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। এ নিয়ে গত কয়েকদিন থেকে বেরী বিল পাড়ের সুজাপুরের মানুষের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে উৎকন্ঠায় ছিলেন গ্রামবাসী। থানা পুলিশের উদ্যোগে বিষয়টির নিষ্পত্তি হওয়ায় গ্রামের লোকজনের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। বৈঠকে আগামী বছর বিলের লাভের অংশ সমিতির সকল সদস্যদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আপোষ মিমাংসায় শেষ করার জন্য গত কয়েকদিন যাবৎ চেষ্টা করেছি। শনিবার বিকেলে উভয় পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠক হয়। বৈঠকে দুই পক্ষের লোকজন ছিলেন। তাদের বক্তব্য শোনা হয়। আগামী বছর বিলের লাভের অংশ সমিতির সকল সদস্যদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। উভয় পক্ষ এতে সম্মত হয়েছেন।’

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.