Sylhet Today 24 PRINT

মৌলভীবাজারে সেই তরুণীকে অপহরণের ঘটনায় ২ জন গ্রেপ্তার

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি |  ১৭ নভেম্বর, ২০১৯

মৌলভীবাজারে এক তরুণীকে (১৮) অপহরণের মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- সদর উপজেলার নিতেশ্বর এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে কামাল মিয়া (২৩) এবং প্রাইভেটকার চালক গিয়াস নগর ইউনিয়নের শাহপুর এলাকার মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (২৪) ।

রোববার সন্ধ্যায় নিজ নিজ এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম।

এরআগে শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে অপহৃত এই তরুণীর মামা জহিরুল ইসলাম তাকে ভৈরববাজার পাঠানোর জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের পুরাতন গেইটের সামনে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। এ সময় একটি প্রাইভেটকারে করে অপহরণকারী দল তাহাদের সামনে এসে লোকাল প্যাসেঞ্জার নিয়ে শ্রীমঙ্গল যাওয়ার প্রস্তাব করে। মেয়েটির মামা তাকে গাড়িতে তুলে দিয়ে ভৈরব বাজার নামিয়ে দেওয়ার জন্য প্রাইভেটকারের চালককে বলেন। গাড়ির চালক মৌলভীবাজার শহর পার হয়ে শ্রীমঙ্গল সড়কে না গিয়া প্রেমনগর চা-বাগান রোডে প্রবেশ করলে ওই তরুণী তাকে নামিয়ে দেওয়ার জন্য বলেন এবং চিৎকার দেন। একপর্যায়ে এই তরুণী মোবাইল ফোনে বিষয়টি তার মামা জহিরুল ইসলামকে জানান। পরে আসামীরা মোবাইল কেড়ে নেয়।

পুলিশ জানায়, প্রাইভেটকারের ভেতরে ওই তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে অপহরণকারীরা। খবর পেয়ে পুলিশের কয়েকটি টিম অভিযান শুরু করে। পরে ভোর ৪টার দিকে দেওড়া চড়া চা বাগান এলাকা থেকে ধর্ষণের প্রস্তুতিকালে পুলিশ তরুণীকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামীরা পালিয়ে যায়।

এ উদ্ধার অভিযান নিয়ে রোববার সকালে সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকম-এ 'মধ্যরাতে ৩ ঘণ্টার অভিযানে তরুণী উদ্ধার' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

মৌলভীবাজারের মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, রোববার সকালে অপহৃত তরুণী বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার ৪ আসামীর মধ্যে চালকসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দ্রুত পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হবে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.