Sylhet Today 24 PRINT

সিলেটের কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল বৈজ্ঞানিক কর্মশালা

নিজস্ব প্রতিবেদক |  ১৯ নভেম্বর, ২০১৯

যে সকল মানুষের ডায়াবেটিকস রোগ ও ব্লাড প্রেসারের সমস্যা রয়েছে তাদেরকে নিয়মিত কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরি দরকার। শুরুতেই পরামর্শ গ্রহণ করে সুষ্ঠু চিকিৎসা নিলে রোগী স্বল্প দিনেই ভালো হয়ে যায়। কোনো রকম ঝুঁকি থাকে না। এ জন্য প্রত্যেক রোগীকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জীবন চালানো প্রয়োজন।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সিলেট নগরীর কিডনি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী বৈজ্ঞানিক কর্মশালা অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।

বক্তারা আরও বলেন, রেজিস্টার্ড চিকিৎসক ছাড়া নিজের মন মতো ওষুধ সেবন উচিৎ নয়। কোনো মানুষের কিডনি রোগ হলে আতংকিত না হয়ে সুষ্ঠু চিকিৎসা সেবা নেয়া সবার আগে নেয়া দরকার । প্রথম ধাপে কিডনি রোগ ধরা পড়লে ভালো হওয়া কঠিন কিছু নয়।

তারা বলেন, প্রতিটি মানুষ খাদ্যাভ্যাস এ সচেতন হলে ও শৃঙ্খল জীবনযাপন করলে কিডনি রোগ থেকে জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে। একেবারে শেষ পর্যায়ে চিকিৎসকের কাছে আসলে কোনো লাভ হয় না। এক সময় কিডনি ড্যামেজ হয়। এতে কোনো রোগী বাঁচানো সম্ভব নয়। বাংলাদেশে অনেক ভালো ভালো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। তারা কাজ করছেন। তাঁদের অকৃত্রিম আন্তরিকতার সেবায় প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।

বৈজ্ঞানিক কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি  প্রফেসর ডা. হারুন- উর রশিদ, কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক কর্নেল এম এ সালাম (অব), কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি ফেরদৌস রশীদ, কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেটের সহ সভাপতি প্রকৌশলী হাবিব আহসান বাবলু, কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেটের ট্রেজারার জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেটের  ট্রাস্ট্রি বোর্ডের সদস্য ডা. মোস্তফা শাহ জামান চৌধুরী বাহার, ডা. আলমগীর চৌধুরী, ডা. নজমুস সাকিব, ডা. শুভার্থী কর, ডা. কাজী মুশফিক আহমেদ,  ডা. সাকিব উজ জামান আরেফিন, ডা. জাকির হোসেন তপু, ডা. তাসনুভা সারাহ কাসেম, ডা. নুরা আফজা সালমা বেগম, ডা. মো. নজরুল ইসলাম, মো. মোসাররফ হোসেন, ডা. রুহুল আমিন রুবেল, ডা. মো. আবু সৈয়দ, বিদেশী চিকিৎসক ডা. স্ট্যানলি ফান, প্রফেসর ডা. মাগডি ইয়াকুব ও ডা. কেরিন ম্যাকফারটি প্রমুখ।

এছাড়া সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেটের প্রধান নির্বাহী ফরিদা নাসরীন, কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেটের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মহিবুর রহমান রাসেল ও ম্যানেজার আতিকুর রহমান।
কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেটের প্রধান নির্বাহী ফরিদা নাসরীন জানান, কিডনি রোগ শনাক্ত করার জন্য প্রিটেনিং পরীক্ষার মূল্য ১৪০/= টাকা ও ইউরিনারি পরীক্ষা ১৪০/= টাকা নেয়া হয় কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেটে। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে সিলেট শহরতলীর কুমারগাঁও এলাকায় ২ বিঘা জায়গায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ তলা বিশিষ্ট ১১০ শয্যার কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ২০২২ সালে হাসপাতালটি  শুভ উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.