Sylhet Today 24 PRINT

বিশ্বনাথে ইয়াবা দিয়ে কলেজ ছাত্রীদের ফাঁসানোর হুমকি এসআই\'র!

জাহাঙ্গীর আলম খায়ের, বিশ্বনাথ |  ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৯

ইয়াবা দিয়ে কলেজে পড়ুয়া তিন বোনকে জেলে ঢোকানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে সিলেটের বিশ্বনাথ থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার মনোয়ারা বেগম (৪০) নামের এক নারীর অভিযোগ তদন্তে গিয়ে এসআই লতিফ মনোয়ারার সতিনের ৩ মেয়েকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এসআই আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ এনে রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রাহেলা বেগম (৪৫)। তিনি ওই তিন কলেজ ছাত্রীর মা ও উপজেলা সদরের পাশশ্ববর্তি জানাইয়া গ্রামের আশিক আলীর প্রথম স্ত্রী।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ২০১০ সালে স্বামী-সন্তানদের ফেলে রাহেলার স্বামী আশিক আলীকে বিয়ে করেন মনোয়ারা বেগম। এরপর থেকে ২ ছেলে ও ৩ মেয়েকে নিয়ে রাহেলা স্বামীর কাছ থেকে পৃথক হয়ে একই বাড়িতে আলাদা ঘরে বসবাস করেন। আর তার সতিন মনোয়ারা স্বামী আশিক আলীকে নিয়ে অন্য আরেকটি ঘরে বসবাস করেন।

এসপির কাছে দেওয়া অভিযোগপত্রে রাহেলা বেগম উল্লেখ ককরেন, মিথ্যা অভিযোগ করে টাকার বিনিময়ে পুলিশ দিয়ে হয়রানির পাশাপাশি আগের স্বামীর ৩ ছেলে হাসান আহমদ (২১), হোসেন আহমদ (১৯) ও হাবিব আহমদকে (১৮) দিয়ে প্রতিনিয়ত রাহেলা ও তার সন্তানদের প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন মনোয়ারা। বর্তমানে তার (রাহেলার) দুই ছেলে ব্যবসা করছে আর ৩ মেয়ে কলেজে লেখাপড়া করছে।

তার অভিযোগ, গত মঙ্গলবার স্বামীর সাথে ঝগড়ার এক পর্যায়ে মনোয়ারা বেগম স্বামীর কাছ থেকে টাকা পয়সা ও মোবাইল সেট কেড়ে নিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। স্বামী আশিক আলী টাকার জন্য প্রথম স্ত্রী রাহেলার ছেলে ইমামুল ইসলামের কাছে বাড়ির ৯টি গাছ ৪হাজার টাকায় বিক্রি করে ওই টাকা নিয়ে অন্যত্র চলে যান। পরদিন বুধবার সকালে গাছ কাটার সময় মনোয়ারা থানায় গিয়ে ইমামুলের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গাছ কাটার অভিযোগ করেন। রাতে অভিযোগ তদন্তে গিয়ে উভয় পক্ষকে ঝগড়াঝাটি না করতে বলেন এসআই দেবাশীষ শর্ম্মা। এর পরদিন বৃহস্পতিবার আবারও রাহেলার মেঝো মেয়ে সাহেদা বেগমকে মারধর করে মনোয়ারা বেগম থানায় গিয়ে উল্টো অভিযোগ করেন, রাহেলার ছেলে-মেয়েরা তাকে মারধর করেছে। আর এই অভিযোগ তদন্তে ওইদিন দু’বার তাদের বাড়িতে যান এসআই আব্দুল লতিফ। এসময় তিনি কলেজে পড়ুয়া মেয়েদের ইয়াবা দিয়ে জেলে ঢোকানোর হুমকি দেন।

এব্যাপারে জানতে চাইলে এসআই আব্দুল লতিফ বলেন, অভিযোগ তদন্তে গিয়ে আইনগতভাবে যা করতে হয় তা তিনি করেছেন।

পুলিশ সুপার না থাকায় এই অভিযোগটি তিনিই দেখছেন জানিয়ে সিলেটের দক্ষিণ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমাম মোহাম্মদ শাদিদ বলেন, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হলে এসআই আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.