সিলেটটুডে ডেস্ক | ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আব্দুস ছবুর মিয়া বলেছেন,আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশের বয়স ১৮ বছরের নিচে। এদের অধিকাংশ যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য সম্পর্কে অবগত নন। তারা জীবন দক্ষতা অর্জনের সুস্থ সুযোগ থেকেও বঞ্চিত। এজন্য তাদের ভুল পথে পরিচালিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। আলোর ধারা পরিচালিত যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা কিশোর-কিশোরীদের অনাকাঙ্খিত ঝুঁকি থেকে বাঁচাবে। আরএইচস্টেপ আলোর ধারার উদ্যোগে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষককদের প্রশিক্ষণ শীর্ষক ৩দিন ব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সোমবার সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরএইচস্টেপ কনফারেন্স হলরুমে এ প্রশিক্ষককদের প্রশিক্ষণ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোর ধারা কমিউনিটি রিসোর্স সেন্টার-এর ইউনিট ম্যানেজার নীহার রঞ্জন দাশের সভাপতিত্বে ও আরএইচস্টেপ আরএফএসইউ প্রজেক্টের মাস্টার ট্রেইনার ফারজানা রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আরএইচস্টেপ আরএফএসইউ প্রজেক্টের টিম লিডার সৈয়দা সাকিরা রেজা নোভা। এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আলোর ধারা কমিউনিটি রিসোর্স সেন্টার-এর সহকারী ইউনিট ম্যানেজার ফিলিপ সমদ্দার, সিনিয়র সার্ভিস প্রমোটার জান্নাত মরিয়ম, সার্ভিস প্রমোটার মেঃ কয়েছ আহমদ, কাউন্সিলর কাম প্যারামেডিক্স রাবেয়া আক্তার, বিদ্যানিকেতন স্কুলের সহকারী শিক্ষক মোঃ এনামুল ইসলাম, কুহেলী রানী দাশ, সিটি মডেল স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, সহকারী শিক্ষিকা লাকী রানী দাশ, বিরেশ চন্দ্র হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, পপি রানী দাস, পুখরাজ মৌলি সুলতানা, দিশারী স্কুল এন্ড কলেজ-এর এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার সুচিত্রা রানী নাথ, সহকারী শিক্ষক হিমু সাহা, তান্নি আখতার প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে নীহার রঞ্জন দাশ বলেন, কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক পরিবর্তন ঘটার পর থেকে নিরাপদ যৌন জীবন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে যথাযথ শিক্ষা দিতে হবে। তাদেরকে সচেতন করে গড়ে তুলতে পারলে মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু ও যৌন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেতে পারে।