Sylhet Today 24 PRINT

সুনামগঞ্জে দুই ছাত্রীকে পেটানো অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি |  ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মঈনুল হক কলেজের দুই ছাত্রীকে পেটানোর ঘটনায় অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে জয়নগর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে জয়নগর বাজারে এসে প্রতিবাদ সভার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

এসময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী উপাধ্যক্ষ আফরোজা পারভীনের পদত্যাগ দাবি করেন। কলেজ বাঁচাতে অবিলম্বে তাদের অপসারণের আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।

প্রতিবাদ সভায় কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন নিজের ইচ্ছে মতো পরিচালনা কমিটি করে স্বৈরতান্ত্রিক উপায়ে কলেজ পরিচালনা করছেন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী উপাধ্যক্ষ আফরোজা পারভীন। এলাকার কয়েকটি বিত্তশালী ও প্রভাবশালী পরিবারের সহায়তায় কলেজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন অধ্যক্ষ। কলেজে নিয়মবহির্ভূত ফি আদায় করে দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রী মিলে টাকা আত্মসাৎ করছেন।

শিক্ষকরা প্রতিবাদ করলে তাদের বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। ছাত্ররা অনিয়মের প্রতিবাদ করলে তাদের বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হয় এবং পরীক্ষায় অকৃতকার্য করা হচ্ছে। যার ফলে কলেজের চেইন অব কমান্ড ভেঙে ফলাফল দিনদিন খারাপ হচ্ছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।

প্রতিষ্ঠাতা মঈনুল হক প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তারের ছেলে এবং তিনি সদর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি।  প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- কলেজের ছাত্র রবিন, আফসানা বেগম, সাবিনা আক্তার প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, মঈনুল হক কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের দুই ছাত্রী (আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় নাম প্রকাশ করা হলো না) নির্বাচনী পরীক্ষায় এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তারা কলেজে অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের সঙ্গে দেখা করতে যান। তখন অধ্যক্ষ কলেজের বাগানে ছিলেন। সেখানে গিয়ে তারা শিক্ষককে পরীক্ষায় পুনরায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানায়। এসময় অধ্যক্ষ মতিউর রহমান রেগে যান এবং বাগানে থাকা কোদালের হাতল দিয়ে ওই দুই ছাত্রীকে বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন। তাদের কান্না ও চিৎকারে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা দৌড়ে আসে। এরপর তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় জয়নগর বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

তবে এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, আমি তাদেরকে মারধর করিনি। শাসন করেছি।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.