Sylhet Today 24 PRINT

কমলগঞ্জে দিনব্যাপী পিঠা উৎসব

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি |  ১৮ জানুয়ারী, ২০২০

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে পিঠা উৎসব।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান।

প্রথমবারের মতো এ পিঠা উৎসব এ অঞ্চলের লোকজনকে বিভিন্ন ধরণের পিঠার সঙ্গে পরিচিত করতে আয়োজন করা হয়েছে।

কমলগঞ্জ পিঠা উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি সাংবাদিক সাজিদুর রহমান সাজুর সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক শাহীন আহমদের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আসলম ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এএসএম আজাদুর রহমান, পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমেদ, জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. হেলাল উদ্দিন, কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ অতিথিদের উত্তরীয় পড়িয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথিসহ অতিথিরা প্রতিটি স্টল ঘুরে দেখেন।

কমলগঞ্জ সরকারি গণ মহাবিদ্যালয়, কমলগঞ্জ আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের বাহারি নামের ৪০টি পিঠার স্টল নিয়ে এ পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে। দিনব্যাপী পিঠা উৎসবে নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জনতা ব্যাংক ভানুগাছ শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন, পৌর কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, রাসেল মতলিব তরফদার, সৈয়দ জামাল হোসেন, কবি শহীদ সাগ্নিক, কবি দিলওয়ার পুত্র কামরান ইবনে দিলওয়ার।

এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

চিতই পিঠা, মেড়া (ঢেলা) পিঠা, নারিকেলি পপ, রস পিঠা, ডুঙ্গা (বাঁশের চোঙায় তৈরি), নুনের পিঠা, সন্দেশ পিঠাসহ গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠার কমতি ছিলো না এ উৎসবে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী এ পিঠা উৎসব। ফলে পিঠা উৎসবের প্রাঙ্গণে ছিল আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশ।

সোনার তরী পিঠা ঘর, বিবিখানা পিঠা ঘর, অন্নপূর্ণা পিঠাঘর, রসুই পিঠা ঘর, রংধনু পিঠা ঘর, পিঠামহল, লোকবাংলা, পৌষের পিঠা কুঠির, পিঠাঘর, মিষ্টি পিঠাঘর, পিঠা প্যালেস,অংকুর পিঠা, হট এন্ড কোল্ড, বন্ধু মহল, বাঙালি পিঠা ঘর, আম্বিয়া কেজি স্কুলসহ বাহারি নামের প্রতিটি স্টলে ছিল প্রায় হরেক রকমের পিঠা।

পিঠা উৎসবে প্রায় ৪০টি স্টল প্রদর্শিত হয়। উপজেলার বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান মেলায় স্টল দিয়ে অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্বতঃস্ফূর্তভাবে বাড়ি থেকে বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানিয়ে এনে প্রদর্শন করেন। উৎসবে শতাধিক ধরনের গ্রামীণ পিঠা প্রদর্শন করা হয়। এর মধ্যে ছিল নতুন ১০-১৫ জাতের পিঠা। তাছাড়া পিঠা উৎসবে পিঠা মেলার পাশাপাশি দিনভর স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় নাচ-গানে মুখরিত ছিল মেলা প্রাঙ্গণ।

কমলগঞ্জ পিঠা উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক সাজিদুর রহমান সাজু বলেন, এ উৎসবের মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষ বাংলার চিরাচরিত গ্রামীণ পিঠা চেনাজানার পাশাপাশি এসবের স্বাদ নিতে পারছে। পৌষ-মাঘের শীতে পিঠা উৎসবে মাতোয়ারা হয় দেশবাসী। এই ঋতুটি যেন পিঠা খাওয়ার উপযুক্ত সময়। এ শীতে এলাকাবাসীকে মনভোলানো পিঠার স্বাদ দিতে পিঠা উৎসব উদযাপন কমিটির আয়োজনে দিনব্যাপী এ আয়োজন। বেশ কয়েক বছর আগেও প্রথম কমলগঞ্জে পিঠা উৎসব হলেও সেটি ধারাবাহিকতা রক্ষা করেনি। এখন থেকে প্রতি বছর কমলগঞ্জে এভাবে পিঠা উৎসব হবে। আগামীতে আরো ব্যাপক পরিসরে এমন উৎসব করার পরিকল্পনা রয়েছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.