Sylhet Today 24 PRINT

শাল্লায় কোটি টাকার সংস্কার কাজ চলছে দায়সারা ভাবে

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি |  ২২ জানুয়ারী, ২০২০

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ৪নং শাল্লা ইউনিয়নের ইয়ারাবাদ থেকে কান্দখলা পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার কাজ চলছে দায়সারা ভাবে। রাস্তা সংস্কারের জন্য ১কোটি ২০লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও চলমান কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়দের দাবি দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় খানা-খন্দে রাস্তাটি ব্যবহারে জনগণের ভোগান্তি ছিলো চরমে। এখন আবার সংস্কারের নামে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে করে সংস্কারের কয়েক মাসের মধ্যে আবারো রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তাটির ইট, খোয়া ও পাথর উঠে গিয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর মাঝেই রাস্তাটি সম্পূর্ণভাবে সংস্কার না করে যেখানে ভাঙ্গা ও গর্ত আছে শুধু সেখানেই ইটের খোয়া দিয়ে সংস্কার কাজ চলছে। যদিও সম্পূর্ণ রাস্তাটি নতুন করে সংস্কার করার জন্য বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যে ইটের খোয়া ব্যবহার করছে সেগুলোও নিম্নমানের ইটের খোয়া বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

শাল্লা উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, ইয়ারাবাদ থেকে কান্দখলা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার কাজে ১কোটি ২০লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। রাস্তাটি সংস্কার কাজ করছে সুনামগঞ্জের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স শফিক এন্টারপ্রাইজ।

স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার বলেন, রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কারহীন ছিলো। যে কারণে সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এখন রাস্তাটি পুনর্নির্মাণের জন্য ১কোটি ২০ লাখ টাকার টেন্ডার হলেও ঠিকাদার নিম্নমানের ইট, বালু ও পাথর দিয়ে রাস্তাটি কাজ করছে। এভাবে কাজটি শেষ করলে এক বর্ষা মৌসুমেই রাস্তাটি আবারো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়বে। হুমায়ুন আহমেদ বলেন, ইস্টিমেটে উল্লেখ রয়েছে ভোলগঞ্জের এলসি পাথরের কথা। সেখানে সুনামগঞ্জের লোকাল পাথর দিয়ে কাজ করছে ঠিকাদার জাকির হোসেন।

অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদার জাকির হোসেন বলেন, রাস্তাটি গত দু’বছর যাবত সংস্কারহীন ছিলো। ক্ষতি হবে জেনেও ১কোটি ২০লাখ টাকার টেন্ডার হওয়া রাস্তাটি শুধু গ্রামবাসীর কথা চিন্তা করেই সংস্কার কাজ শুরু করি।

নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ঠিকাদার জাকির হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন আগে এলজিইডি থেকে লোকজন এসে ইটের খোয়া নিয়ে গেছে ল্যাবে পরীক্ষা করার জন্য। তারা বলেছেন আরও ভালো মানের ইটের খোয়া ব্যবহারের জন্য। তবে রাস্তাটির নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বলেনি।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইশতিকার হোসেন বলেন, আমি শাল্লায় অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছি। তবে এই বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে দেখব। যদি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হয়, তাহলে আমি বিল আটকে দেব। কোনো নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা যাবে না।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.