Sylhet Today 24 PRINT

বড়লেখায় স্কুলের ভবন নির্মাণে অনিয়ম: ফোনে খোঁজ নিলেন শিক্ষামন্ত্রী

বড়লেখা প্রতিনিধি |  ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া সংবাদ দেখে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার জোনের (বড়লেখা-কুলাউড়ার দায়িত্ব) থাকা উপ সহকারী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ‘বড়লেখায় স্কুলের ভবন নির্মাণে নিম্নমানের রড, বাধা দেওয়ায় প্রকৌশলী লাঞ্ছিত’ শিরোনামে সিলেটটুডেতে সংবাদ প্রকাশ হয়। গণমাধ্যমের খবরটি দেখে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) উপ সহকারী প্রকৌশলী আফজাল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে তাকে ধন্যবাদ জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রীর ফোন করার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপ সহকারী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন বলেন, ‘অনিয়ম ঠেকানোর খবর দেখে মন্ত্রী মহোদয় ফোন করে আমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মন্ত্রী মহোদয়ের ফোনে খোঁজ খবর নেওয়া আমাদের ভালো কাজে প্রেরণা যোগাবে।’

এদিকে ঠিকাদারের লোকজন কর্তৃক প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টার বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ মো. শাহাব উদ্দিনের সাথে সরাসরি কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিবেশ মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন।

অপরদিকে সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার সরকার নির্মাণাধীন ভবনের কাজ পরিদর্শন করেছেন। এসময় নিম্নমানের সব রড খুলে ফেলা, প্রকৌশলীর সাথে খারাপ আচরণকারী সকল শ্রমিককে বদলে নতুন শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া এবং নতুন রড এনে তা দেখানোর পর কাজ শুরু করতে ঠিকাদারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার চান্দগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে নিম্নমানে রড ব্যবহার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ভবনের ফাউন্ডেশন বিমে নিম্নমানের রড ব্যবহার করায় বাধা দেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেন ঠিকাদারের লোকজন।

বুধবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সামনে ঘটনা ঘটে। চার তলা ভবনটি নির্মাণ করছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। দুই কোটি ৮৮ লাখ টাকায় ভবন নির্মাণের কাজ পায় উপজেলার আহমদ শরীফ দেলোয়ারের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শরীফ এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভবনের ফাউন্ডেশন বিমের রড বাঁধাইয়ে ব্যাপক অনিয়ম করে। ব্যবহার করা হয় নিম্নমানের রড। বিমের রিং তিন ইঞ্চি পরপর থাকার কথা। কিন্তু এখানে ৭/৮ ইঞ্চি পরপর রিংগুলো বাঁধাই হয়েছে। এসব কাজে বাধা দেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী। কয়েক দফায় রড পরিবর্তন করতে বলেন। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে গড়িমসি করে।

উপ সহকারী প্রকৌশলী সরেজমিনে দেখতে পান ভবনের বিমসহ অনেক জায়গায় নিম্নমানের রড রয়েছে। রিং বাঁধাইয়েও ব্যাপক অনিয়ম। এ নিয়ে কথা বললে ঠিকাদারের লোকজন প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেন।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.