Sylhet Today 24 PRINT

নবীগঞ্জে পতাকা উত্তোলন দিবস আজ

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি |  ২২ মার্চ, ২০২০

আজ ২২ মার্চ নবীগঞ্জে মহান স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস। প্রতি বছরই ওই দিনটি অনেকটা নীরবে অতিবাহিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনকারী তৎকালীন ছাত্রনেতা আব্দুর রউফ দিবসটি উদযাপন করে আসছেন।

১৯৭১ সালের এই দিনে সকাল ১০টায় নবীগঞ্জের ডাকবাংলোতে মুক্তযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আব্দুর রউফ ও রশীদ বাহিনীর প্রধান মুক্তিযোদ্ধা মুর্শেদ জামান রশিদ সঙ্গীয় সহযোদ্ধাদের নিয়ে পাকিস্তানির পতাকা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পরে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন।

এ ব্যাপারে রশীদ বাহিনীর প্রধান মুক্তিযোদ্ধা মুর্শেদ জামান রশিদ বলেন, তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে ২৩ মার্চ সারা দেশে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনের ঘোষণা আসে। এরপরই আমরা সহযোদ্ধাদের নিয়ে জাতীয় পতাকা সাথে নিয়ে নবীগঞ্জে আসি এবং মরহুম জননেতা আব্দুল আজিজ চৌধুরীর বাসভবনে বসে নবীগঞ্জে ২২ মার্চ পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই অনুযায়ী নবীগঞ্জের ডাকবাংলায় পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে পতাকাটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করে ঢাকায় ফিরে যাই।

ওই পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে তৎকালীন সময়ে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ডা. নিম্বরু রহমান চৌধুরী, আলহাজ্ব হিরা মিয়া, আব্দুস ছুবান মাস্টার, আব্দুল হক চৌধুরী, আব্দুস ছালাম, রামদয়াল ভট্টার্চায, আজিজুর রহমান ছুরুক মিয়া, চারু চন্দ্র দাশ, মাস্টার আব্দুল মতিন চৌধুরী, মিহির কুমার রায় মিন্টু ও আবু ছালেহ চৌধুরীসহ অনেক নেতৃবৃন্দ।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার স্বপক্ষে যারা জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাই। তিনি তাদের নাম অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান।

মুর্শেদ জামান রশিদ আরও বলেন, অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা এখন সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন। অনেকেই আছে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। অনেক রাজাকারই এখন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারিভাবে ভাতাসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.