Sylhet Today 24 PRINT

করোনার উপসর্গ নিয়ে বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গল থেকে দুজন শামসুদ্দিন হাসপাতালে

নিজস্ব প্রতিবেদক |  ০৪ এপ্রিল, ২০২০

করোনাভাইরাস (কেভিড-১৯) এর ঝুঁকি নিয়ে মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গল থেকে দুজন সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন হাসমপাতালে হয়েছেন। শনিবার সকালে বড়লেখার এক যুবক ও সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গলের কিশোরীকে এই হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

এই দুজনসহ মোট তিনজন শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি রয়েছেন।

দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হওয়ার পর সিলেটের এই হাসপাতালকেই করোনা আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুশান্ত মহাপাত্র বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিন জনের মধ্যে সিলেটের মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি শুক্রবার ভর্তি হয়েছেন। আর বড়লেখার যুবক ভর্তি হয়েছেন সকালে। এই দুইজনের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আর শ্রীমঙ্গলের কিশোরী সন্ধ্যায় এসে ভর্তি হয়েছেন। তার নমুনা রোববার ঢাকায় পাঠানো হবে। এদের একেকজন একেকধরণের সমস্যায় ভূগছেন। কারো শ্বাসকষ্ট, কারো জ্বর, সর্দি-কাশি তো আছেই।

তিনি বলেন, এখানে চিকিৎসাধীন আগের সকল রোগীকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।  

এদিকে, শ্রীমঙ্গলের কিশোরীকে শামসুদ্দিন হাসপাতালে প্রেরণের পর উপজেলা প্রশাসন থেকে ওই কিশোরীর এলাকায় চলাচল সীমিত করে তার বাড়িতে যাবার রাস্তার মুখে লাল পতাকা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও করোনা ভাইসার প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘মেয়েটির স্বাসকষ্ট রোগ ছিল, তাই আমাদের সন্দেহ হলে তাকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহম্মেদ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। এছাড়া শুক্রবার ওই মেয়েটির পাশের বাসায় একজন পুরুষ মারা যায়। যদিও মৃত ব্যক্তির শরীরে করোনার কোন উপসর্গ ছিল না।’

শ্রীমঙ্গল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুর রহমান মামুন বলেন, ‘সিলেট থেকে মেয়েটির মেডিক্যাল রিপের্ট না আসা পর্যন্ত তার বাসায় প্রবেশের রাস্তার মুখে লাল পতাকা দিয়ে শুধু ওই বাসা সংলগ্ন সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত করে রাখা হয়েছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.