Sylhet Today 24 PRINT

‘কাশফুলের বালুচর’

হৃদয় দাশ শুভ |  ২৯ আগস্ট, ২০১৯

দু’পাশে চা গাছের সারি ঘেরা প্রশস্ত সড়ক। বিশাল খোলা প্রান্তর। সেই প্রান্তর কে ভেদ করে বয়ে চলেছে পাহাড়ি ‘ভুড়ভূড়িয়া নদী’ (পাহাড়ি ছড়া)।  সেই পাহাড়ি ছড়ার ধারে ফুটে আছে শরতের বার্তা নিয়ে আসা কাশফুল। শহরের যাপিত যান্ত্রিক জীবনের ভেতরে যারা একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার জন্য যারা খোলামেলা জায়গা খুঁজে বেড়ান, তাঁরা ঘুরে আসতে পারেন শ্রীমঙ্গলের ‘কাশফুলের বালুচরে’।

শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কের চা গবেষণা কেন্দ্রের রাস্তার মোড়টা পেরিয়ে ভানুগাছ যাওয়ার রাস্তা ধরে খানিকটা সামনে এগোলেই ডান পাশে ছোট্ট একটি মাটির রাস্তা পাওয়া যাবে। সেই মাটির রাস্তায় ঢোকা মাত্রই ঢুকে পড়বেন এক ভিন্ন জগতে। ইট-কাঠের যান্ত্রিক শহরে এক টুকরো সবুজের দেখা মেলাই যেখানে ভার, সেখানে বেলতলীর এই সবুজ ও সাদা মিশ্রিত প্রান্তরে হারিয়ে যেতে নেই মানা।

শরৎ এর আগমন ঘটলো মাত্র, আর সেই শরতের আগমনী বার্তা নিয়ে আসা নিবিড় কাশবন রয়েছে এখানে। বেলতলী থেকে মাটির রাস্তা ধরে পাঁচ মিনিট হেটে গেলেই কাশবন। কাশফুলের ছোঁয়ায় প্রশান্ত হবে প্রাণ, সাথে বাড়তি পাওনা হিসেবে রয়েছে গোড়ালি সমান স্বচ্ছ ভুড়ভূড়িয়া ছড়ার পানি। ছড়া পেরিয়ে নদীর ওপাশেই ধু ধু বালুচর, সেই বালুচরের পাশেই ফুঁটে রয়েছে অসংখ্য শুভ্র সাদা কাশফুল ৷ চারদিক কাশ ফুলে ফুলে সাদা হয়ে আছে সেখানে।

ছুটির দিনগুলোতে গাড়ি-বাইক হাঁকিয়ে, কেউবা রিকশায়, টমটমে চড়ে হাজির হচ্ছেন এখানে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাশফুলের বালুচর দেখতে তিন বান্ধবী এসেছেন বেলতলীতে। শরতের নীল আকাশের সঙ্গে মিলিয়ে চারজনই পরেছেন নীল রঙা শাড়ি। তাঁদেরই একজন রোজিনা ইসলাম সিলেটটুডেকে বললেন, “মাঝেমধ্যেই এখানে ঘুরতে আসি। নিরিবিলি পরিবেশ বলে বেশ ভালো লাগে।”

কাশবনের আগের পুরোটা অংশ জুড়ে রয়েছে বালুচর। ছড়ার পাড়ে বসে মনে মনে ভাসিয়ে দিতে পারেন কল্পনার ভেলা। পা মেলে একটু বসলেই ছুটে আসা ফুরফুরে বাতাসে জুড়িয়ে যায় প্রাণ। এখানে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের শোভাও অপূর্ব।

ছড়ার শীতল বাতাস ও সবুজের সমারোহে মুক্তি মিলবে শহুরে কোলাহল থেকে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাশফুল দেখতে আসছেন নানান বয়সী লোকজন।

যাত্রী নিয়ে আসা বিভিন্ন গাড়ীর চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে এখানে দর্শনার্থীদের ভিড় বেশি থাকে। শ্রীমঙ্গল চৌমোহনা থেকে থেকে ছড়ার পাড় পর্যন্ত আসতে কমবেশি ৩০-৪০ টাকা ভাড়া লাগে রিকশায়, টমটম বা সিএনজিতে আসলেও ১০০ টাকার ভেতরেই সহজেই আসা যায় এখানে ৷

যারা কর্মব্যস্ত শহরে খুঁজে বেড়ান একটু নীরবতা, তাঁরা ‘কাশফুলের বালুচরে’ ঘুরে আসতে পারেন প্রিয়জনকে নিয়ে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.