Sylhet Today 24 PRINT

গরিবের ইফতার আয়োজন করে ‘মার খেলেন’ স্বেচ্ছাসেবক

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২১ এপ্রিল, ২০২১

রমযান মাসে নিম্নআয়ের মানুষদের জন্যে ইফতারের আয়োজন করে মারধরের শিকার হয়েছেন এক স্বেচ্ছাসেবক। মাহমুদুল হাসান রায়হান নামের এই স্বেচ্ছাসেবককে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মারধর করেছেন অভিযোগ ওঠেছে, যদিও আওয়ামী লীগের ওই নেতা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

জানা যায়, করোনা রোধে সারা দেশে ‘লকডাউন’ চলাকালে পটুয়াখালী জেলা শহরে রমজান মাসে গরিবের ইফতার আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পটুয়াখালীবাসী’। সংগঠনটির এই আয়োজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে।

‘পটুয়াখালীবাসী’র আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান রায়হান অভিযোগ করেছেন, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ইফতারের আগে সার্কিট হাউজ মোড়ে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী আলমগীর তাকে মারধর করেছেন। রায়হানের অভিযোগ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী আলমগীর ও চার-পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে তার সহযোগীরা সেখানে আসেন। সার্কিট হাউজের সামনে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এসে আমাকে থাপ্পড় মারেন। আমাকে এবং ভলান্টিয়ারদের ভয় দেখিয়ে সরিয়ে দেন সেখান থেকে।

তিনি বলেন, প্রথমে তারা এসে বলে- তুই কী হয়ে গেছস? তোকে ফান্ড দেয় কে? তোমরা প্রোগ্রাম করো আমাদের জানাইছ? আমি ইফতারের আয়োজন করি বলে জানালে, তারা আমাকে প্রোগ্রাম করতে নিষেধ করে চলে যায়। তিনি বলেন, এর পাঁচ মিনিট পর তারা আবার ঘুরে আসে। এসে কোনো কথা ছাড়াই মারধর শুরু করে। লাঠিসোটা ছিল না। হাত দিয়েই মারে। শুধু আমাকেই মারে।

রায়হান জানান, আজকের ইফতার আয়োজনে টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান মৃধার মেয়ে শিল্পী। পটুয়াখালীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মানস চন্দ্র দাসও তিন দিন এ ইফতার আয়োজনে টাকা দিয়ে সহায়তা করেছেন। আগামীকাল ৫০ জনের ইফতার আয়োজন করার কথা ছিল একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার দেওয়া টাকায়।

মাহমুদুল হাসান রায়হান পটুয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে অ্যাকাউন্টিংয়ে মাস্টার্স করেছেন। চাকরির পাশাপাশি যুক্ত আছেন এ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে।

এদিকে, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী আলমগীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রায়হানের সঙ্গে সাবেক এক শিবির কর্মীর সখ্য রয়েছে। সার্কিট হাউজের সামনে ইফতার আয়োজনে জহিরুল নামের ওই শিবিরকর্মীর সংশ্লিষ্টতার খবর পেয়ে সেখানে যান তিনি।

তিনি বলেন, তার ওপর হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। রায়হানকে বলেছি- খারাপ ছেলেদের যেন প্রশ্রয় না দেয়।

পটুয়াখালীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মানস চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমি তিন দিন তাদের পাশে ছিলাম। উদ্যোগটা ভালো লেগেছে বলে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি।’ হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খবর নিচ্ছি।’

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.