Sylhet Today 24 PRINT

১৯ বস্তা দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও অলঙ্কার মিলেছে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০৬ মে, ২০২৩

ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্সে প্রতি তিন-চারমাস পর পর এই মসজিদের আটটি দানবাক্স থেকে কোটি কোটি টাকা পাওয়া যায়।

শনিবার (৬ মে) সকালে এই মসজিদের দানবাক্স থেকে মিলেছে ১৯ বস্তা দেশি-বিদেশি মুদ্রা ,স্বর্ণ ও রৌপ্যালঙ্কার। এখন দানবাক্সের টাকা গণনা চলছে।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছে। তিনি বলেন, সকাল ৯টার দিকে দানবাক্স খোলা হয়েছে। ৮টি দানবাক্স খুলে ১৯ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন গণনা চলছে।

চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি মসজিদের দানবাক্স খুলে ২০ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সেখানে ছিল ২ কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮৯ টাকা। আরও ছিল প্রায় চার কেজির মত সোনা ও রূপার গহনা।

কিশোরগঞ্জ শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে পাগলা মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদ কেন্দ্র করে রয়েছে একটি ধর্মীয় কমপ্লেক্স। বাংলাদেশ সরকারের জেলা তথ্য বাতায়ন ওয়েবসাইটে মসজিদটি সম্পর্কে বলা আছে, "জনশ্রুতি আছে যে, পাগলবেশী এক আধ্যাত্মিক পুরুষ খরস্রোতা নরসুন্দা নদীর মধ্যস্থলে মাদুর পেতে ভেসে এসে বর্তমান মসজিদের কাছে স্থিত হন এবং তাকে ঘিরে আশেপাশে অনেক ভক্তকূল সমবেত হন। উক্ত পাগলের মৃত্যুর পর তার সমাধির পাশে পরবর্তীতে এই মসজিদটি গড়ে উঠে তাই কালক্রমে এটি পাগলা মসজিদ নামে পরিচিত হয়। মসজিদটি শুধু ইসলাম ধর্মাবলম্বীর কাছেই নয়, সকল ধর্মাবলম্বীর কাছে অত্যন্ত পবিত্র ধর্মীয় কেন্দ্র হিসেবে পরিগণিত"।

১৯৯৭ সাল থেকে এই মসজিদটি ওয়াকফ'র আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। তখন থেকে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে মসজিদের সিন্দুক খুলে টাকা গণনা হয়ে থাকে।

এখানে একটি এতিমখানা রয়েছে, এতিমখানার খরচ এই টাকা থেকে চালানো হয়। ক্যান্সার, কিডনি রোগে আক্রান্ত দরিদ্র ব্যক্তিদেরও এই তহবিল থেকে সাহায্য দেওয়া হয়।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.