বিজিবি মহাপরিচালকের বাংলাবান্ধা আইসিপি শূন্যলাইন পরিদর্শন

বুধবার (১০ মে) দুপুরে বাংলাবান্ধা আইসিপি শূন্য লাইন পরিদর্শন করেছেন বর্ডারগার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান, বিএএম, এনডিসি, পিএসসি।

পরিদর্শনকালে তিনি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি শ্রী অজয় সিং-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

তিনি উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যকার সৌহার্দ সম্প্রীতির আরও গভীর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এরআগে বিজিবি মহাপরিচালক ঠাকুরগাঁও সেক্টর, ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়ন, ঠাকুরগাঁও বর্ডার গার্ড হাসপাতাল ও পঞ্চগড় ব্যাটালিয়ন এর ব্যাটালিয়ন সদর পরিদর্শন করেন।

বাংলাবান্ধায় যাওয়ার পথে তিনি পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা বিওপি ও বিজিবির নীলফামারী ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ মাগুরমারী বিওপি পরিদর্শনকালে সাধারণ সৈনিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

ডিজি বাংলাবান্ধায় পৌঁছালে পঞ্চগড় (১৮ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. যুবায়েদ হাসান, পিএসসি তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।'

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক, রিজিয়ন কমান্ডার, উত্তর পশ্চিম রিজিয়ন রংপুরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, বিজিবির সেক্টর কমান্ডার, ঠাকুরগাঁও সেক্টরের, কর্নেল এম এইচ হাফিজুর রহমান (এসপিপি, পিএসসি)-সহ বিজিবির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাগণ।

বিজিবি মহাপরিচালক বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেন, সীমান্ত আইন বিষয়ক জনসচেতনতায় সারাদেশের সীমান্তের ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটারে একবছরে প্রায় ২০ হাজার অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্প হয়েছে।

সাংবাদিকরা বিজিবি মহাপরিচালকের নিকট মাদকসহ অন্যান্য অপরাধ কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এসব বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতির কথা বলেন।

আইসিপিতে বর্ডারহাট ও উভয় দেশের নাগরিকদের মিলনমেলা চালুর বিষয়ে প্রস্তাব রাখলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার চেষ্টা করবো।