Sylhet Today 24 PRINT

স্কুল ছাত্র হাসিব বাঁচতে চায়

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ থেকে |  ০২ এপ্রিল, ২০১৬

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কমলাপুর গ্রামের মোক্তার হোসেন মণ্ডলের পুত্র ও দরিদ্র পরিবারের স্কুল ছাত্র হাসিবকে বাঁচাতে হলে এক সপ্তাহের মধ্যে অস্ত্রোপচার করতে হবে। এ জন্য টাকা লাগবে ৩ লাখ।

অসহায় বাবা মানুষের হাতে-পায়ে ধরে মাত্র ৩ হাজার টাকা জোগাড় করেছেন। এতো টাকা কি ভাবে জোগাড় করবেন এই চিন্তায় পরিবারের সদস্যরা সারাক্ষণ কান্নাকাটি করছেন। পরিবারটির প্রশ্ন টাকার জন্য তার ছেলের কি চিকিৎসা হবে না?

হাসিবুর রহমান ওরফে হাসিব (১৪) ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কমলাপুর গ্রামের মোক্তার হোসেন মণ্ডলের পুত্র ব্রেন-টিউমারে আক্রান্ত হয়ে এখন যন্ত্রণায় ছটফট করছে হাসিব।

হাসিবের বাবা মোক্তার হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান, নিজে হাতুড়ী দিয়ে খোয়া ভাঙ্গার কাজ করেন। এভাবে কাজ করে দিনে ৩ শত টাকা পান। সবদিন আবার কাজ হয় না। এভাবে আয় করে কোনো রকমে সংসার চালান। দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে আব্দুস সামাদ ধার-দেনা করে চার মাস হলো বিদেশ গেছে। এখনও বাড়িতে সে কোনো টাকা পাঠাতে পারেনি। আর ছোট ছেলে হাসিব এ বছর জেএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। নিজের কোনো জায়গা জমি নেই। তিন শতক জমির উপর টিনের চালায় বসবাস করেন।

মোক্তার হোসেন আরো জানান, ৪ থেকে ৫ মাস হয়েছে ছোট ছেলে হাসিবের শরীরে জ্বর অনুভব করতো। একটি সময় মুখ বাঁকা হতে থাকে। পরে ডাক্তার দেখালে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়ে দেন ব্রেন-টিউমার হয়েছে।

ঢাকা ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানকার চিকিৎসক এফ.এইচ চৌধুরী (ফরহাদ) গত ২৮ মার্চ জানিয়েছেন, তাকে এক সপ্তাহের মধ্যে অপারেশন করতে হবে। অন্যথায় ঝুঁকি থেকে যাবে। আর এই জন্য সব মিলিয়ে প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হবে। কিন্তু এই টাকা তিনি জোগাড় করতে পারছেন না।

গত তিনটি দিন ধার করার জন্য একাধিক মানুষের কাছে ছুটেছেন। মাত্র ৩ হাজার টাকা একজন দিয়েছেন। আর কেউ দিচ্ছেন না। এই অবস্থায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন। কি ভাবে ছেলের জীবনকে রক্ষা করবেন এই চিন্তায় তার দিন কাটছে।

তিনি বলেন, মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। কেও সাহায্য করছে না। এ অবস্থায় আর কোনো আশা নেই তার ছেলেকে বাঁচানোর।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.