Sylhet Today 24 PRINT

জামিন ও রিমান্ড আবেদন নাকচ, কারাগারে সাংবাদিক সিদ্দিকুর

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

প্রয়োজনে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশনা দিয়ে রিমান্ড আবেদন নাকচ করে শিক্ষাবিষয়ক অনলাইন পোর্টাল দৈনিক শিক্ষা ডটকমের সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান খানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সাংবাদিক সিদ্দিকুরের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করেন ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, যিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদে থাকা অবস্থায় মামলা না করে অবসরগ্রহণের পর মামলা করেছিলেন।

শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মুখ‌্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের সাইবার ক্রাইম অ‌্যান্ড কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক শওকত আলী সরকার। আদালত সে রিমান্ড আবেদন গ্রহণ করেন নি।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুনকে নিয়ে ‘অসত‌্য তথ‌্যের ভিত্তিতে অশালীন প্রতিবেদন’ প্রকাশ করেছেন সিদ্দিকুর। শিক্ষা ডটকমের কোনো নিবন্ধন বা বৈধ কাগজপত্র আছে কি না জানার জন‌্যও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

এর বিরোধিতা করে সিদ্দিকুরের পক্ষে জামিন চান তার আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও মবিনুল ইসলাম।

খুরশীদ আলম খান রিমান্ডের বিরোধিতায় বলেন, যথাযথ কাগজপত্রের ভিত্তিতেই শিক্ষা ডটকমে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযোগে তথ‌্য-প্রযুক্তি আইনে মামলা করা যায় না।

মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন শুনানি শেষে রিমান্ড নাকচ করে সিদ্দিকুরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং প্রয়োজনে কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন গত সোমবার সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের এই মামলা করেন। এরপর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা ভবনের সামনে থেকে সিদ্দিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক থাকা কালে ফাহিমা খাতুনের বিরুদ্ধে দৈনিক শিক্ষা ডটকম ওয়েবসাইটে বিভিন্ন সময়ে ইচ্ছাকৃতভাবে মনগড়া মিথ্যা ও অশ্লীল প্রতিবেদন তৈরি করে প্রকাশ ও সম্প্রচার করা হয়।

অভিযোগে ফাহিমা খাতুন বলেন, “এ ধরনের মিথ্যা ও অশ্লীল সম্প্রচারে আমার মানহানি হইয়াছে; রাষ্ট্র ও আমার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি ক্ষূণ্ন হইয়াছে এবং আমি সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হইয়াছি।

“রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদ তথা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পদ সম্পর্কে এমন বেফাঁস ও অশ্লীল সম্প্রচারে জনমনে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার উদ্ভব হইয়াছে এবং আস্থা বিনষ্ট হইয়াছে।”

পদে থাকা অবস্থায় আসামি সিদ্দিকুর রহমানের ওয়েবসাইটে ওইসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও অবসরে যাওয়ার পর মামলা করার কারণ হিসেবে অধ্যাপক ফাহিমার এজাহারে বলা হয়, “আমি সদ্য অবসর শেষে আমার দাপ্তরিক অন্যান্য কাজ গুছিয়ে এবং আমার নিকট আত্মীয়দের সাথে বুঝ পরামর্শ করে থানায় আসিয়া এজাহার দায়ের করিতে কিছুটা বিলম্ব হইল।”

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.