Sylhet Today 24 PRINT

‘হতে চাই না বিয়ের পাত্রী, হতে চাই স্কুল ছাত্রী’

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ থেকে |  ১০ নভেম্বর, ২০১৬

দুই ভাগ্নির বিয়ে হয়েছিল অল্প বয়সে। বেশি দিন টেকেনি তাদের সংসার। প্রতিদিনই খবর পাওয়া যায় কোথাও না কোথায় বাল্য বিবাহ হচ্ছে। বাল্য বিবাহ মানেই একটি মেয়ের জীবন নষ্ট করা।

হতে চাই না বিয়ের পাত্রী, হতে চাই স্কুল ছাত্রী এই স্লোগান নিয়ে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ ও এর কুফল সম্পর্কে সারা দেশে সচেতনতামুলক প্রচার চালাচ্ছেন আনোয়ার হোসেন তালুকদার (৫০) নামের এক ব্যক্তি। তার বাড়ি বগুড়ার বারবাকপুর গ্রামে। সাইকেলে চেপে লাল রঙের পোশাক, প্যান্ট, গেঞ্জি, টুপি, চশমা, জুতা ও লাল রঙের মাইক ব্যবহার করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ছাত্রীদের মাঝে বাল্যবিবাহের কুফল নিয়ে লিফলেট বিতরণ করছেন আনোয়ার হোসেন।

ইতিমধ্যে ৬৭ দিনে দেশের ৬৪টি জেলায় প্রচার শেষে তিনি এবার নেমেছেন দেশের প্রতিটি উপজেলায় প্রচারের কাজে। বাল্যবিবাহ রোধে বাইসাইকেলে দেশ ঘুরে আনোয়ার হোসেনের জনসচেতনমূলক প্রচারণা কাজ করেছেন ঝিনাইদহে বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুর ১২টার সমায় সরকারি উজিরআলী স্কুল এন্ড কলেজে তিনি ছাত্রীদের মাঝে বাল্য বিবাহের কুফল নিয়ে ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।

এই সমাজ সচেতন মানুষ আনোয়ার হোসেন জানান, লাল রঙ বিপদ সংকেত। তাই আমার সবকিছু লাল রঙের ব্যবহার করে মানুষকে সচেতন করছি। সকলকে বোঝাতে চাচ্ছি বাল্যবিবাহ বিপদজনক।

আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, গত ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি তিনি সিদ্ধান্ত নেন সারা বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় গিয়ে বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে ছাত্রীদের জানাবেন, বোঝাবেন। ইতিমধ্যে ৬৭ দিনে ৬৪ জেলা তিনি বাইসাইকেলে চেপেই ঘুরেছেন এবং বিভিন্ন বিদ্যালয়ে লিফলেট বিতরণ করেছেন।

এবার তিনি শুরু করেছে প্রতিটি উপজেলায় গিয়ে এ প্রচারণা করবেন। ইতিমধ্যে ৯টি জেলা বগুড়ার ১১টি, নওগাঁর ১১টি, বগুড়ার ১২টি, নাটোরের ৭টি, সিরাজগঞ্জের ৯টি, পাবনার ৬টি, মেহেরপুরের ৪টি,কুষ্টিয়ার ৬টি, চুয়াডাঙ্গার ৪টি ও ঝিনাইদহের ৪টি উপজেলায় প্রচারণা সম্পূর্ণ করেছেন।

আনোয়ার হোসেন স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশ একদিন বাল্যবিবাহ মুক্ত হবে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.