Sylhet Today 24 PRINT

খালেদা জিয়ার মামলার পরবর্তী শুনানি ২৫ ফেব্রুয়ারি

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় তৃতীয় দিনের মতো শুনানি শেষ হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে শুনানি শেষে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। দুপুরে আগে আদালত মামলার কার্যক্রম এ দিনের মতো শেষ করেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার যুক্তিতর্ক গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে। রাজধানীর পুরান ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে এ মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানিতে শুরু থেকেই উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

তবে আদালতের শুনানিতে দলের নেতাদের উপস্থিতি কমে গেছে। গ্রেপ্তার আতঙ্ক আর আদালতে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করায় নেতাদের উপস্থিতি কমে গেছে বলে মনে করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম।

আইনজীবী বলেন, ‘আদালতের প্রবেশপথে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবার অনেককে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি আইনজীবীদেরও প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে আদালতের ভেতরে প্রবেশ কমে গেছে।’

অন্যদিন স্থায়ী কমিটির অধিকাংশ নেতাসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত থাকলেও আজ শুধু মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন। প্রতিদিন শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত থাকলেও আজকে এর সংখ্যা কমে গেছে ১০ জনে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার আমিনুর রহমান বলেন, ‘আসামির নিরাপত্তাজনিত কারণে সবাইকে আদালতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে একটা তালিকা করা হয়েছে ওই তালিকা অনুযায়ী প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।’

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মির্জা আল মাহমুদ বলেন, ‘অনেক আইনজীবীকে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে। আদালতের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ সব আইনজীবীর পেশাগত অধিকার। কিন্তু প্রবেশে বাধা দিয়ে সেই অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে।’

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি। জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ।

ওই মামলার অন্য আসামিরা হলেন—খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এ ছাড়া আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারিত রয়েছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.