Sylhet Today 24 PRINT

এলজিইডির কালভার্ট বিক্রি করে দিলেন ইউপি সদস্য

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০৫ মে, ২০১৮

সরকারি কালভার্ট বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যের বিরুদ্ধে। ওই ইউপি সদস্যও সেটা স্বীকার করেছেন। কালভার্টটি ভেঙে ইট ও রড খুলে নিয়ে যাওয়ায় রাস্তার মাঝে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চলাচলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এনিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের উজানচর ইউনিয়ন পরিষদে।

দৈনিক বণিকবার্তা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উপজেলার উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল হোসেন ২০ ফুট বাই ১০ ফুট আয়তনের বক্স কালভার্টটি স্থানীয় আনোয়ার হোসেনের কাছে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি এক্সক্যাভেটর দিয়ে কালভার্টের ইট ও রড খুলে নিয়ে গেছেন। প্রায় ২৫ বছর আগে কালভার্টটি নির্মাণ করে গোয়ালন্দ উপজেলা এলজিইডি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উজানচর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম উজানচর নবু ওসিমদ্দিন পাড়া মোকবুলের দোকান এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে শোমসেরপুর জামে মসজিদসংলগ্ন রাস্তার মাঝখানে বিশাল গর্ত। মাঝে মাটি ফেলে চলাচলের পথ করা হয়েছে। একপাশে এখনো কালভার্টের একটি ভগ্ন অংশে রড বেরিয়ে আছে। স্থানীয়রা জানায়, কালভার্টটি দিয়ে এলাকার মাঠের পানি নিষ্কাশন হতো। গত বর্ষায় কালভার্টসংলগ্ন মসজিদটি ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়লে স্থানীয়রাই এটির মুখ ভরাট করে। অবশ্য মাঠের পানি বের হওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে।

সম্প্রতি কালভার্টটি ভেঙে ফেলায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আবুল মেম্বার কাউকে কিছু না জানিয়ে আনোয়ারের কাছে কালভার্টটি ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। সরকারি টাকায় নির্মিত অবকাঠামো তিনি কীভাবে বিক্রি করলেন, আমরা তা বুঝতে পারছি না। তাছাড়া কালভার্টটি ভেঙে ফেলার কারণে মসজিদের মুসল্লি ও আশপাশের লোকজনের চলাচলে খুবই সমস্যা হচ্ছে।

কালভার্টটি কেনার কথা স্বীকার করেছেন আনোয়ার হোসেন। তবে ৪০ হাজার টাকায় নয়, আবুল মেম্বারকে তিনি ৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন। পুরোটা ভাঙতে না পারায় মেম্বার তাকে ১ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন বলেও জানান।

কালভার্ট বিক্রির কথা স্বীকার করে ইউপি সদস্য আবুল হোসেন বলেন, রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করা হবে। তাছাড়া সেখানে আর কালভার্টটির প্রয়োজন না থাকায় আমি আনোয়ারের কাছে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। এক্ষেত্রে আইন-কানুনের বিষয়টি আমার অতটা জানা নেই। তাছাড়া চেয়ারম্যানকে জানিয়েই করেছি।

তবে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে উল্লেখ করেছেন উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ফকীর।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু নাসার উদ্দিন বলেন, সরকারি সম্পদ বিনা টেন্ডারে বিক্রির সুযোগ নেই, সেটার মূল্য যা-ই হোক। এছাড়া অপ্রয়োজনীয় সরকারি সম্পদ বিক্রিরও একটা নিয়ম-কানুন আছে। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.