Sylhet Today 24 PRINT

‘আমি ধর্ষণ মামলার মূল হোতা’, লাশের গলায় চিরকুট

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৮ জানুয়ারী, ২০১৯

ঢাকার সাভার উপজেলা থেকে আশুলিয়ায় দল বেঁধে ধর্ষণের পর পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার প্রধান আসামির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় নিহতের গলায় একটি কাগজে লেখা ছিল, ‘আমি ধর্ষণ মামলার মূল হোতা’।

বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার খাগান এলাকার আমিন মডেল টাউনের ভেতরের একটি খোলা মাঠ থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ বলছে, তার নাম রিপন। তিনি ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি ছিলেন।

নিহত রিপন ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। তিনি আশুলিয়া এলাকার ইয়াগী বাংলাদেশ লিমিটেড কারখানার শ্রমিক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে আমিন মডেল টাউনের ভেতরে খালি মাঠে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি সাভার মডেল থানায় জানানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় তার গলায় ঝুলিয়ে রাখা একটি কাগজে লেখা ছিল ‘আমি ধর্ষণ মামলার মূলহোতা।’

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আওয়াল বলেন, রিপনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া তার গলায় ঝুলিয়ে রাখা পরিচয় পত্রটির সত্যতা পাওয়া গেছে।

তবে কে বা কারা রিপনকে হত্যার পর এখানে ফেলে রেখে গেছে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।

আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বলেন, গণধর্ষণের শিকার নারীর মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবার দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি রিপন।

প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি আশুলিয়ায় ধর্ষণের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার একদিন পর নির্যাতনের শিকার নারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। এর আগে গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কারখানা ছুটির পর বাড়ি ফেরার উদ্দেশে রওনা দেয় ওই নারী। এ সময় স্থানীয় রহিম, শিপন ও কারখানার লাইন চিফ রিপনসহ পাঁচ বখাটে তার গতিরোধ করে। পরে তাকে কারখানার পেছনে একটি মাঠে নিয়ে ধর্ষণ করে তারা।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.