Sylhet Today 24 PRINT

পণ্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের মারা গেছেন

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০৪ অক্টোবর, ২০১৯

সমাজসেবায় অবদানের জন্যে একুশে পদক পাওয়া বাংলাদেশের সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উপ-সংঘরাজ, রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারের অধ্যক্ষ পণ্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের আর নেই। ২০১৫ সালে তিনি একুশে পদক পান।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) সত্যপ্রিয় মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেন রামু কেন্দ্রীয় সীমাবিহারের সহকারী পরিচালক প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু।

১৯৩০ সালের ১০ জুন কক্সবাজারের রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের পশ্চিম মেরুংলোয়া গ্রামে জন্ম নেওয়া পণ্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথেরের প্রকৃত নাম বিধু ভূষণ বড়ুয়া। তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি ত্রিপিটকের অভিধর্ম পিটকের অন্তর্গত 'চুল্লবর্গ' গ্রন্থ পালি থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন। গ্রন্থটি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

বৌদ্ধ ধর্ম বিষয়ক অনেক গবেষণাধর্মী গ্রন্থও রচনা করেছেন তিনি।

পণ্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ সাহসী ভূমিকা রাখেন। যুদ্ধ-চলাকালীন সময়ে তিনি ঐতিহ্যবাহী পুরনো কাঠের সীমা বিহারে আশ্রয় দেন এলাকার অসহায় ও নির্যাতিত মানুষকে। এ নিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় পণ্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথেরের ।

পণ্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সহ-সভাপতি ও বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের অন্যতম শীর্ষ গুরু ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রামুর ফতেখাঁরকুল মেরুংলোয়া কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন পণ্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের। নানা জায়গায় চিকিৎসার পর বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল তাকে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.