Sylhet Today 24 PRINT

এমপি বললেন আমি পাকা ধান কেটেছি

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২৮ এপ্রিল, ২০২০

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সময়ে ধান কাটতে শ্রমিক সঙ্কটে থাকা কৃষকদের নিয়ে আলোচনার সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাঁচা ধান কাটা নিয়ে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, একজন সংসদ সদস্য ধান কাটছেন। ওই ভিডিওচিত্রে কৃষকের ওই ধান কাঁচা ছিল এমন আলোচনার সময়ে এমপি বলছেন তিনি মূলত পাকা ধান কেটেছেন। কিছু লোক সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছেন কাঁচা ধান কাটা হয়েছে; এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও গুজব।

সোমবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ধান কাটেন। পরে সেই ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের আলোচনার বিষয় ছিল- সাংসদ পাকা ধান না কেটে কাঁচা ধান কেটেছেন।

বিজ্ঞাপন

তবে এমপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বলছেন কাঁচা ধান কাটা নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে।

সংসদ সদস্য তানভীর হাসান মনির ঢাকা বলেন, আমি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এক কৃষকে ধান কাটতে দেখি। তখন আমি গাড়ি থেকে নেমে দলীয় কিছু নেতা-কর্মীদের নিয়ে ওই কৃষকের কিছু ধান কেটে দেই। আমি মূলত পাকা ধান কেটেছি। তবে কিছু লোক সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছেন কাঁচা ধান কাটা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও গুজব। আমি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জনই ধান কেটেছি। যাতে করে সবাই এই সময়ে ধান কাটায় অংশ নেয়।

জানা যায়, গোপালপুর উপজেলার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের সুন্দরপুর এলাকার কৃষক লতিফ মিয়া ও তার ছেলে সুজন মিয়া ১৫ শতাংশ জমিতে ব্রি-২৮ ধান লাগান। জমিটি বৈরান নদীর তীরবর্তী হওয়ায় ও জমিতে পানি ওঠার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় সেই ধান কাটছিলেন কৃষক লতিফ মিয়া ও তার ছেলে সুজন। এমন সময় ওই জমির পাশের রাস্তা দিয়ে গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। এ সময় তিনি গাড়ি থেকে নেমে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে কিছু ধান কেটে দেন।

কিন্তু ধান কাটার এই ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি একটি জমির ধান কাটছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার সুরুজসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় নেতা-কর্মী।

বিজ্ঞাপন

কৃষক লতিফ মিয়া বলেন, আমি ও আমার ছেলে ধান কাটছিলাম। ঠিক তখন এমপি পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আমার ধান কেটে দেয়। আমার ক্ষেতের ধান পাকা, কিন্তু ডাটাগুলো কাচা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় এমপি যে ধান কেটেছেন সেটি ব্রি ২৮ জাতের ধান। এই ক্ষেতটি নদীর তীরবর্তী একদম নিচু এলাকায়। এখানে এই ক্ষেতের ধান ৮০ থেকে ৯০ ভাগ পাকা। তাই এই ক্ষেতটি অবশ্যই ধান কাটার যোগ্য।

তিনি আরও বলেন, ৮০ শতাংশ ধান পাকলেই কৃষকদের ধান কাটতে বলা হয়। উপর থেকে দেখলে মনে হয় কাঁচা। কিন্তু ধানের ধানের শীষ দেখলে বোঝা যাবে এটি পাকা ধান। অনেকেই গুজব রটাচ্ছেন কাঁচা ধান কাটা হয়েছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.