Sylhet Today 24 PRINT

সমাজে শুদ্ধাচার বিকাশে ড. আনিসুজ্জামানের ভূমিকা ছিল অনন্য: দুদক চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক |  ১৪ মে, ২০২০

জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান

দেশের প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবী , জাতীয় অধ্যাপক সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ড. আনিসুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

বিজ্ঞাপন

এক শোকবার্তায় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, এ দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের অবদান জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। সমাজে শুদ্ধাচার বিকাশে তাঁর ভূমিকা ছিল অনন্য সাধারণ। একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ দেশে-বিদেশে অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত এই মহান শিক্ষক সমাজের বহুমানুষের পথপ্রদর্শক ছিলেন । সত্য, সুন্দর ও নৈতিক মূল্যবোধ জাগাতে তাঁর অসাধারণ লেখা ও বক্তৃতা মানুষকে অনুপ্রাণিত করতো। দুর্নীতি দমন কমিশনের অনেক প্রতিরোধমূলক কর্মসূচিতে তাঁর উপস্থিতি ও পরামর্শ আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করতো। তাঁর অমূল্য পরামর্শ সমাজে সততা ও নৈতিকতার বিকাশে দুদকের প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমে প্রতিফলন ঘটতো। তিনি ছিলেন দুদকের একজন অকৃত্রিম সুহৃদ। তাঁর মৃত্যুতে দুদক পরিবার শোকাহত।

শোকবার্তায় দুদক চেয়ারম্যান ড.আনিসুজ্জামানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, এই মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি দুদক চেয়ারম্যান গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে পরিবারের সদস্যগণ এই গভীর শোক ও বেদনা কাটিয়ে উঠবেন মর্মে তিনি মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করেন।

উল্লেখ্য, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে মারা যান বাংলা একাডেমির সভাপতি আনিসুজ্জামান। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের জন্ম ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায়। ভারত ভাগের পর তারা এপারে চলে আসেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন আনিসুজ্জামান। এই ভূখণ্ডে ধর্মান্ধতা ও মৌলবাদবিরোধী নানা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা ছিল তার।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.