Sylhet Today 24 PRINT

বানিয়াচংয়ে অবাধে চলাফেরা করছেন করোনা আক্রান্ত নারী

এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা

বানিয়াচং প্রতিনিধি |  ০৮ জুলাই, ২০২১

বানিয়াচংয়ে করোনা পজিটিভ নিয়ে অবাধে চলাফেরা করছেন বানিয়াচং ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়নের অন্তর্গত সাগরদীঘির দক্ষিণ পাড়ের জমিলা আক্তার সমলা নামে এক মহিলা। মানছেন না হোম কোয়ারেন্টিন বা আইসোলেশনে থাকার নির্দেশনা। ফলে ওই এলাকায় করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

জমিলা পাড়াগাঁও গ্রামের অদুদ মিয়ার স্ত্রী। স্বামীর সাথে বনিবান না থাকায় জমিলা তার মায়ের কাছেই থাকেন। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনসহ ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিকে জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ নেননি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

সূত্র জানায়,সাগরদীঘি দক্ষিণ পাড়ের জমিলা আক্তার বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চুক্তি ভিত্তিক আয়া হিসেবে কাজ কাজ করে আসছেন। ইদানীং সে শারীরিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে করোনা পরীক্ষার জন্য রেপিড টেস্টের মাধ্যমে গত ৩০ জুন স্যাম্পল নেয়া হয়। ওই দিনই তার করোনা পজিটিভ আসে। পরে তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিট স্বল্পতার কারণে না রেখে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।

এদিকে জমিলা আক্তার করোনা নিয়ে সাগরদীঘির পাড়সহ রাস্তাঘাটে অবাধে চলাফেরা করছেন। তার এই চলাফেরা করার কারণে এলাকায় করোনা ছড়িয়ে পরার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী জানান, জমিলার করোনা পজিটিভ বিষয়ে আমরা কোনো কিছু জানতাম না। গতকাল থেকে আমরা এই খবর পেয়েছি যে তার করোনা পজিটিভ। জমিলা আগের মতোই সব জায়গায় ঘুরাফেরা করছে,অনেকেই সাথে কথাবার্তা বলছে। আমরা দ্রুত থাকে কিভাবে হোম কোয়ারেন্টিনে নেয়া যায় সে বিষয়ে প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে পুরো এলাকায় করোনা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সহকারি সার্জন ডা. জিএম ইসতিয়াক মাহমুদ বলেন, রোগীর চাপ বেশি থাকায় আর আমাদের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে সিট কম থাকায় করোনা পজিটিভ রোগীদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়ে দিয়েছি। সেখানে থাকার পর যদি কোনো ধরনের সমস্যা হয় তাহলে চিকিৎসা দেয়ার অন্য চিন্তাভাবনা করব। আর জমিলার বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। তাকে হোম কোয়ারেন্টিন মানাতে বাধ্য করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি সকালে কে জানি বলেছিল। বিষয়টি এখনই দেখছি। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা রোগীদের জন্য সরকারি কোনো বরাদ্দ এখনো আসেনি।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.