Sylhet Today 24 PRINT

চট্টগ্রামে শনাক্ত শতভাগ শিশুর দেহে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৯ জুলাই, ২০২১

চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত হওয়া শতভাগ শিশুর দেহে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

জুন থেকে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে করোনা শনাক্ত হয়ে ভর্তি হওয়া ১২ শিশুর নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে এ তথ্য জানা গেছে। এসব শিশুর মধ্যে সবাই নবজাতক থেকে ১৬ বছর বয়সী।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সমন্বয় পরিচালিত এই গবেষণাটির নেতৃত্ব দেন এইচ এম হামিদুল্লাহ মেহেদী, আব্দুর রব মাসুম, সঞ্জয় কান্তি বিশ্বাস, নাহিদ সুলতানা ও আদনান মান্নান। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) ভাইরোলজি বিভাগের গবেষক দল।

গবেষণায় নেতৃত্ব দেয়া আব্দুর রব বলেন, ‘যে ১২ শিশুর নমুনা নিয়ে গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে, তাদের ৮০ ভাগেরই বয়স ১০ বছরের নিচে। সর্বনিম্ন আট মাস বয়সের শিশুর নমুনায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

‘আমাদের অন্য একটি গবেষণা অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্ক কোভিড-১৯ রোগীদের মধ্যে ৮০ ভাগ রোগী পুরুষ হলেও শিশুদের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। শিশুদের ক্ষেত্রে অর্ধেক ছেলে ও অর্ধেক মেয়েশিশুর নমুনায় এই ভ্যারিয়েন্ট দেখা গেছে।’

তিনি আরও বলেন, তা ছাড়া করোনা শনাক্ত হয়ে ৯৫ ভাগ শিশুর জ্বরের লক্ষণ ও ৭০ ভাগ শিশুর সর্দি-কাশি ছিল। তবে একটি শিশু পুরোপুরি উপসর্গহীন ছিল।

ডা. হামিদুল্লাহ মেহেদী বলেন, ‘আমাদের গত চার মাসের পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে চট্টগ্রামে আলফা ও বিটা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ ছিল মে মাস পর্যন্ত। কিন্তু জুন থেকে ৯০ ভাগ রোগীর মাঝেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের পাওয়া গেছে। এই পরিবর্তনের সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হচ্ছে শিশুদের মাঝে সংক্রমণ ভয়ংকরভাবে বেড়ে যাওয়া।’

এই প্রসঙ্গে গবেষক দলের অন্যতম সদস্য ডা. সঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, ‘গত এক বছরে আমরা শিশুদের আক্রান্ত হতে খুব একটা দেখিনি। কিন্তু গত জুন মাসে ভারতীয় প্রকরণ ছড়িয়ে পড়ার পর আক্রান্তের সংখ্যা ও তীব্রতা বেড়ে গেছে।

‘মূলত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণেই এমনটি হচ্ছে বলে আমাদের গবেষণায় পরিলক্ষিত হয়েছে। শিশুরা নিজের অনুভূতি কিংবা দুর্বলতা প্রকাশ করতে না পারায় অনেক শিশুই কোভিড টেস্টের বাইরে থেকে যাবে।’

গবেষণায় প্রাপ্ত জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য জার্মানি থেকে প্রকাশিত ভাইরাসের আন্তর্জাতিক তথ্যভান্ডার সংস্থা গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা (জিআইএসএআইডি) তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.