Sylhet Today 24 PRINT

আরও ৫৮ মৃত্যু, কমেছে শনাক্তের হার

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ২ হাজার ৫৫৮ জনের দেহে। কমেছে শনাক্ত হারও, ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ, যা সাড়ে তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। দেশে এ পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১৫ লাখ ২৪ হাজার ৮৯০ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ৭৪৬ জনের।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ হাজার ৫৪১টি। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ, যা ১০৩ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২৯ মে এর চেয়ে কম শনাক্তের হারের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন শনাক্ত হার ছিল ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে মুক্তি লাভ করেছেন ৩ হাজার ৬১৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ২১২ জন। সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ২৮।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৩৫ জন, নারী ২৩ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

মৃতদের মধ্যে ২টি শিশু রয়েছে। বাকিদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব ২, চল্লিশোর্ধ্ব ৭, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৬, ষাটোর্ধ্ব ১৬, সত্তরোর্ধ্ব ৭ ও অশীতিপর ৮ জন।

বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপরই রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ, ১৯ জন। এছাড়া খুলনায় ৫ জন, রাজশাহীতে ৩, সিলেটে ৮ ও রংপুরে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত মার্চ থেকে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার মাস পাঁচেক পর সম্প্রতি পরিস্থিতির উন্নতির চিত্র দেখা যাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে কমছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে কমছে শনাক্তের হার।

গত এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই মাসে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২০ ছাড়িয়ে এক পর্যায়ে ৩০ শতাংশও ছাড়িয়ে যায়। এই অবস্থায় এপ্রিলে লকডাউন ও পরে জুলাইয়ে দেয়া হয় শাটডাউন নামে বিধিনিষেধ।

গত ১১ আগস্ট থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হলেও এরপর থেকে রোগী ও মৃত্যু ধীরে ধীরে কমে আসছে। শাটডাউন চলাকালে নিয়মিতভাবে ২৪ ঘণ্টায় আড়াইশর বেশি মানুষের মৃত্যুর তথ্য এসেছে। এ ছাড়া করোনা উপসর্গে মারা গেছে আরও বহুজন।

ওই সময়ে প্রথমে রাজশাহী বিভাগ ও পরে খুলনা বিভাগে মৃত্যু ছিল সবচেয়ে বেশি। হাসপাতালগুলোতে রোগীর জায়গা দেয়া যাচ্ছিল না, দেখা দেয় অক্সিজেন সংকট।

বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি করা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রথমে ঢাকায় অতটা না ছড়ালেও জুনের শেষ দিকে রাজধানী ও আশেপাশের এলাকাগুলোতেও ছড়াতে থাকে। হাসপাতালে তৈরি হয় ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই অবস্থা। বিশেষ করে আইসিইউ সংকটে রোগীদের স্বজনরা পড়েন দুর্ভোগে।

তবে এখন করোনা রোগীর জন্য বরাদ্দ করা হাসপাতালের শয্যার বেশিরভাগ অংশই ফাঁকা পড়ে আছে। আইসিউই ইউনিটগুলোও এখন চাইলেই পাওয়া যাচ্ছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.