Sylhet Today 24 PRINT

ঢাকায় অমিক্রনের ৩ উপধরন

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২৪ জানুয়ারী, ২০২২

ঢাকা শহরে অমিক্রন ধরনের তিনটি সাব টাইপ (উপধরন) রয়েছে। এই উপধরনগুলো বেশি ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)।

গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। সোমবার সকালে এ বিষয়ক একটি প্রতিবেদন তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, অমিক্রন ভেরিয়েন্টের জিনোম সিকুয়েন্স বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, ঢাকা শহরে তিনটি সাব টাইপ রয়েছে। এগুলো আফ্রিকান, ইউরো-আমেরিকান এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ওমিক্রন ধরনের সঙ্গে মিলে যায়।

আইসিডিডিআরবি বলছে, জানুয়ারির প্রথম দুই সপ্তাহে তাদের ল্যাবরেটরিতে ১ হাজার ৩৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২৮ শতাংশই ছিল করোনায় আক্রান্ত। আর আক্রান্তদের মধ্যে ওমিক্রন ছিল ৬৯ শতাংশের দেহে।

গবেষণা সংস্থাটি জানায়, বাংলাদেশে ৬ ডিসেম্বর অমিক্রন প্রথম শনাক্ত করা হয়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে ১১ ডিসেম্বর। ওই মাসেই আইসিডিডিআরবির ল্যাবে পরীক্ষা করা ঢাকা শহরের ৭৭ জন করোনা রোগীর মধ্যে পাঁচটিতে অমিক্রন শনাক্ত করা হয়েছিল। অন্যগুলো ছিল ডেল্টা ভেরিয়েন্ট।

অমিক্রনে আক্রান্ত ২৯ জনের সাক্ষাৎকার নেয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে আইসিডিডিআরবি প্রতিবেদনে। এর মধ্যে পুরুষ ১৩ জন ও মহিলা ১৬ জন। ২৭ জনের কোনো উপসর্গও ছিল না।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২৪ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। আর প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৩ জন। ২৯ জনের মধ্যে মাত্র একজনকে একদিনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। করোনার এই ধরনে আক্রান্ত একজন সৌদি আরব থেকে ফেরা। বাকিরা দেশেই ছিলেন।

দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি ফের উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। শুরু হয়েছে তৃতীয় ঢেউ।

করোনা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের বরাতে রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, দেশে করোনা সংক্রমণের হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসা ৮০ শতাংশই করোনা পজিটিভ আসছে। ধরণা করা হচ্ছে, এখন বেশির ভাগই করোনার নতুন ধরন অমিক্রনে আক্রান্ত।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের সামাজিক সংক্রমণ ঘটেছে। আস্তে আস্তে ডেল্টার জায়গাগুলোকে দখল করে ফেলছে অমিক্রন।’

তিনি জানান, ৭৩ শতাংশ মানুষের নাক দিয়ে পানি ঝরছে। ৬৮ শতাংশ মানুষের মাথা ব্যথা করছে। ৬৪ শতাংশ রোগী অবসন্ন-ক্লান্তি অনুভব করছেন। ৭ শতাংশ রোগী হাঁচি দিচ্ছেন। গলা ব্যথা হচ্ছে ৭ শতাংশ রোগীর। ৪০ শতাংশ রোগীর কাশি হচ্ছে।

নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে। এখন সিজনাল যে ফ্লু হচ্ছে তার সঙ্গে কিন্তু ওমিক্রনের মিল রয়েছে। তাই এখন থেকে আরও সর্তক হতে হবে।’

অমিক্রন রোধে কিছু সুপারিশও রেখেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে রয়েছে টিকাদান কর্মসূচির গতি বাড়ানো; পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপরে জোর দেয়া। সঠিক নিয়মে মাস্ক পরা। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরার পাশাপাশি ঘন ঘন সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.