Sylhet Today 24 PRINT

সিলেটে আইসোলেশন সেন্টারে নেই আইসিইউ সুবিধা

করোনাভাইরাস মোকাবেলা

জাহিদুল ইসলাম |  ২৪ মার্চ, ২০২০

পৃথিবীজুড়ে একপ্রকার তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯। ইউরোপ-আমেরিকাতে প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। বাংলাদেশও মুক্ত নয় করোনার থাবা থেকে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৩৩ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হিসেবে সনাক্ত হয়েছেন। এরমধ্যে মারা গেছেন ৩ জন।

পৃথিবীজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অনেক রোগীকে নিতে হচ্ছে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (আইসিইউ)-তে। তবে সিলেটে আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ঘোষণা করা শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে নেই আইসিইউ ইউনিট। যদিও প্রবাসী অধ্যুষিত হওয়ায় সিলেটকে করোনা সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রোববারই করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক প্রবাসী নারী মারা গেছেন।

এছাড়া সিলেটের অনেক হাসপাতালেই চিকিৎসক-নার্সদের জন্য নেই পর্যাপ্ত পিপিই (পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট)। করোনাভাইরাস সনাক্তের ব্যবস্থাও নেই এখানে। সন্দেহভাজন কেউ ভর্তি হলে ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআর)-এর অপেক্ষায়ই থাকতে হয় রোগী ও চিকিৎসকদের।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য সিলেট নগরীর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালকে আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে সিলেট বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ও শাহপরান (র.) হাসপাতালকে। এই হাসপাতালগুলোর কোথাও নেই আইসিইউ সুবিধা। তাই আক্রান্ত রোগীর অবস্থার অবনতি হলে বিপাকে পড়তে হবে চিকিৎসকদের।

তবে এসব সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও প্রস্তুতি পর্যাপ্তই বলছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম। আর সিভিল সার্জন বলছেন, আইসিইউর প্রয়োজন দেখা দিলে ব্যবস্থা করা হবে।

সোমবার সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সিলেটের প্রস্তুতির চিত্র তুলে ধরেন জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম।

সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল বলেন, চিকিৎসকদের পিপিই আসতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত যা এসেছে তা যথেষ্ট। তবে করোনা পরীক্ষার কোনো টেস্টিং কিট পাওয়া যায় নি। এছাড়া কিট দিয়ে পরীক্ষা শতভাগ নির্ভুল নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আইসোলেশন ইউনিটে আইসিইউ সুবিধা প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন বলেন, এখনো কাউকে আইসিইউতে নেবার প্রয়োজন পড়েনি। তবে যদি কখনো এমন প্রয়োজন হয় তখন দেখা যাবে। প্রয়োজনে আপদকালীন সময়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের সাহায্য নেয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।

রবিবার সিলেটে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে শহিদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করা যুক্তরাজ্য ফেরত নারীর পরীক্ষার রিপোর্ট এখনো আসেনি বলেও জানান সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল।

জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, সিলেটের আরও দুইটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে তৈরি রাখা হয়েছে প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য। এছাড়া সিলেটের সকল বেসরকারি হাসপাতালকেও যুক্ত করা হবে প্রয়োজনে। আইসিইউর প্রয়োজন হলে তা ব্যবস্থা করা হবে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.