Sylhet Today 24 PRINT

সর্বশেষ জেলা হিসেবে রাঙ্গামাটিতে করোনার সংক্রমণ, শনাক্ত ৪

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০৭ মে, ২০২০

দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শুরুর ঠিক দুই মাসের মাথায় দেশের শেষ জেলা হিসেবে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ফলে দেশের ৬৪ জেলাতেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হলো।

বুধবার (৬ মে) চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় রাঙ্গামাটিতে চারজনের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রাঙ্গামাটি জেলার সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা জানান, গত ২৯ এপ্রিল জেলার বেশ কয়েকজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। আজ (বুধবার) বিআইটিআইডি ল্যাব থেকে জানানো হয়েছে, চারটি নমুনায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত চারজনই রাঙ্গামাটি পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আক্রান্ত চার জনের মধ্যে একটি শিশুসহ তিন জন পুরুষ, একজন নারী। এদের মধ্যে রিজার্ভ বাজার এলাকার আক্রান্ত শিশুর বয়স ৯ মাস, দেবাশিষনগর এলাকার আক্রান্ত চট্টগ্রাম ফেরত শিক্ষার্থীর বয়স ১৯ বছর এবং হাসপাতাল এলাকার দুজনের মধ্যে একজনের বয়স ৫০। একই এলাকার অন্যজন ৩৮ বছর বয়সী নারী রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র নার্স।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, সামান্য জ্বর ও কাশির মতো করোনা উপসর্গ থাকায় গত ২৯ এপ্রিল তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাদের সবাইকেই হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল।

রাঙ্গামাটি স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত জেলায় মোট কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে ২০০৫ জনকে। এর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে ৬২৯ ও হোম কোয়ারেনটাইনে রাখা হয় ১৩৭৬ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেনটাইনে আছেন ৪৬৭ জন, কোয়ারেনটাইন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১৫৩৮ জন। জেলায় মোট ২৭০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০২ জনের নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। সবশেষ বুধবার চার জনের নমুনায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়ার পর প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাড়ি গেছেন। তাদের সংস্পর্শে আসা অন্যদেরও কোয়ারেনটাইনে রাখা হবে। ঘরগুলো লকডাউন করা হবে। যেহেতু ২৯ তারিখ তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, তাই নতুন করে আবার তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।

প্রসঙ্গত, পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার মধ্যে সর্বপ্রথম ১৬ এপ্রিল বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের এক ব্যক্তির শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর বান্দরবানের থানচি, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়িতে পুলিশ সদস্যসহ আরও চার জন আক্রান্ত হয়েছেন।

প্রায় দুই সপ্তাহ পর ২৯ এপ্রিল খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় একজন করোনা পজিটিভ হন। বুধবার রাঙ্গামাটিতে চার জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়ায় তিন পার্বত্য জেলাসহ সারাদেশেই করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ল।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.