Sylhet Today 24 PRINT

নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাম গণতান্ত্রিক জোটের

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৩ নভেম্বর, ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোট। সোমবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ তাদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেছেন, একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের ফাঁদে পা না দিয়ে আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকা না থাকা নির্ভর করবে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কার্যক্রম ও আচরণের ওপর।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক মো. শাহ আলম। এ সময় সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবি নেতা সাজ্জাদ জহির চন্দন ও রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, গণসংহতি আন্দোলনের জুলহাসকার নাহিন, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সভাপতি অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, মার্কসবাদীর কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক উপস্থিত ছিলেন।

বাম নেতৃবৃন্দ বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে বামপন্থীরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। তবে নির্বাচনে টিকে থাকা নির্ভর করবে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের আচরণের ওপর। সরকার ও নির্বাচন কমিশন তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা ও দায়িত্বশীল কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নির্বাচনে সব দল ও মানুষের অংশগ্রহণ ও জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করবে। তারা এমন কোনো ভূমিকা পালন করবে না যাতে আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরে আসতে বাধ্য হই।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া মানে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে মেনে নেওয়া নয়। অংশ নিচ্ছি সংগ্রামের পদ্ধতিগত অংশ হিসেবে।

এক প্রশ্নের জবাবে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন না করার কারণ, তখন সেটা ছিল 'নো' নির্বাচন। আর এবার হচ্ছে 'ব্যাড' নির্বাচন। পরিস্থিতি দাবি করলে তারা নির্বাচন বর্জনও করতে পারেন বলে তিনি আভাস দেন। একই সঙ্গে বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব, তা দেশবাসী মনে করে না। এখন যে নির্বাচন হবে, তা অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না। ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন হবে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, মনোনয়নপত্র কেনার সময়ে শোডাউন করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র বিক্রিতে কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। তবে এতে ভ্যাট আদায় করা হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য এনবিআরকে পরামর্শ দেন তিনি।

অপরদিকে বাম জোটের নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রের অতীত অভিজ্ঞতা দেশবাসীর আছে। রাজনৈতিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হলে ষড়যন্ত্রকারীরা উৎসাহিত হয়। ক্ষমতার খেলার অংশ হিসাবে শাসক গোষ্ঠী নানা ধরনের কূটকৌশল গ্রহণ করে। এ ধরনের পরিস্থিতি সম্পর্কে দেশবাসী সজাগ না থাকলে কি ধরনের পরিস্থিতি হয় তার দুঃখজনক ইতিহাস জনগণের জানা আছে। আসন্ন নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশন ও সরকারের ভূমিকা যাতে বিতর্কিত না হয় তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারকেই গ্রহণ করতে হবে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.