Sylhet Today 24 PRINT

নৌকায় ভোট পড়েছে ৭৬.৮০ শতাংশ, ধানের শীষে ১৩.৫১

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০৩ জানুয়ারী, ২০১৯

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী নৌকা প্রতীকে ভোট পড়েছে ৭৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। অপরদিকে ধানের শীষ প্রতীকে পড়েছে ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ ভোট। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রস্তুতকৃত ভোটের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।  

সংখ্যার দিক থেকে মোট বৈধ ৮ কোটি ২২ লাখ ৫৫ হাজার ৫শ’ ৪৪ ভোটের মধ্যে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ী ও বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা পেয়েছে ৬ কোটি ৩১ লাখ ৭৬ হাজার ১১৪ ভোট। এছাড়া দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিতি ধানের শীষ পেয়েছে এক কোটি ১১ লাখ ১১ হাজার ৭২৯ ভোট। এছাড়া বতর্মান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রতীক লাঙ্গল নিয়ে ১৭৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন প্রার্থীরা। তারা পেয়েছেন ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ ভোট। তারা ১৭৪টি আসনে পেয়েছেন ৪৪ লাখ ১৮ হাজার ৯শ’ ভোট।

ইসির হিসাব অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে নৌকা। এই প্রতীক নিয়ে ২৭১টি আসনে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদের মধ্যে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন ২৫৯ জন। বাকিরা শরিক দল এবং মহাজোটের প্রার্থী।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে ধানের শীষ। এই প্রতীকে ২৮১ জন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাদের মধ্যে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন ২৫৬ জন। এই প্রার্থীদের মধ্যে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পেয়ে জামানত হারিয়েছেন ১৫২ জন।

দেশের ২৯৮টি আসনে সর্বোচ্চসংখ্যক আসনে প্রার্থী দিয়েছিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। হাতপাখা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে ২৯৭ জন প্রার্থী। তারা পেয়েছে ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ ভোট।

বামপন্থী দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কাস্তে প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৭৪ জন প্রার্থী। তারা সারা দেশে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৪১৭ ভোট। যা শতকরা হিসাবে শূন্য দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। তাদের ৭৪ জন প্রার্থীর মধ্যে সবারই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ থেকে মশাল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন ৮ জন। তারা পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪শ’ ৭৪টি ভোট। বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির কুঁড়েঘর প্রতীক নিয়ে ৯ জন নির্বাচন করে মোট ভোট পেয়েছেন ৮ হাজার ৩শ’ ৬৭।

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের প্রতীক মই নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন ৪৪ জন প্রার্থী। একজন বাদে সবাই ছিল বাসদের প্রার্থী। একজন অন্যদলের। তারা পেয়েছেন ১৭ হাজার ৫শ’ ৯১ ভোট।

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতীক কোদাল। এই প্রতীক নিয়ে ২৮ জন প্রার্থী পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪৩ ভোট। তাদের মধ্যে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী ছিলেন ২৬ জন। বাকি চারজন অন্য দলের। যারা নিবন্ধিত নন।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির তারা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন ১৫ জন। তাদের মোট ভোট সংখ্যা ৩ হাজার ১শ’ ১৯। বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের প্রতীক গাভী। এই প্রতীক নিয়ে তিনজন নির্বাচন করে পেয়েছেন ৫ হাজার ১শ’ ৭৬ ভোট।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীদের মধ্যে হাতুড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন তিনজন। তারা পেয়েছেন ১ হাজার ৭শ’ ২৯ ভোট। তিনজনই জামানত হারিয়েছেন। এছাড়া দলীয় ও মহাজোটের প্রতীক নিয়ে দলটির ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তাদের মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ৫ জন।

বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এম,এল) চাকা প্রতীক নিয়ে দুই প্রার্থী নির্বাচন করেছেন। তারা পেয়েছেন ৩৮৭ ভোট।

সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছে হাতঘড়ি প্রতীকে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি। তাদের প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৫৫টি। একটি আসনে হাতঘড়ি প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন একজন প্রার্থী।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.