Sylhet Today 24 PRINT

সাবিরাকে কি আমরা বাঁচাতে পারতাম?

স্যোশাল মিডিয়া ডেস্ক |  ২৭ মে, ২০১৬

মডেল সাবিরাকে কি বাঁচানো যেতো না, এমন প্রশ্ন তুলেছেন ডয়েচে ভেলে'র সাংবাদিক আরাফাতুল ইসলাম। ফেসবুকে নিজের ভেরিভাইড পেজ থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে আরাফাতুল এমন প্রশ্ন তুলেন। বিভিন্ন দেশে ফেসবুকের সঙ্গে আত্মহত্যা প্রতিরোধক বিভিন্ন সংস্থার সরাসরি যোগাযোগ আছে বলে উল্লেখ করেন আরফাতুল।

আরাফাতুল ইসলাম তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন-


মডেল সাবিরা হোসাইনের আত্মহত্যার পর থেকেই এই প্রশ্নটা মাথায় ঘুরছে৷ মেয়েটা ফেসবুকে তার আত্মহত্যার কারণ ব্যাখ্যা করে একটা ভিডিও আপলোড করেছে৷ সঙ্গের টেক্সটা এলোমেলো৷ সেখানে একজনকে ট্যাগও করেছিল৷ ভিডিওটা আপলোড করতে সে বেশ খানিকটা সময় নিয়েছে৷ তারপর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার আগ পর্যন্তও কিছুটা সময় লেগেছে৷ প্রশ্ন হচ্ছে, ফেসবুকে ভিডিওটা প্রকাশের পরপরই কেউ যদি একটি তৎপর হতো তাহলে কি মেয়েটাকে বাঁচানো যেত?

জার্মানি এবং ব্রিটেনসহ কিছু দেশে ফেসবুকের সঙ্গে আত্মহত্যা প্রতিরোধক বিভিন্ন সংস্থার সরাসরি যোগাযোগ আছে৷ কেউ আত্মহত্যা করতে চাচ্ছে এমন রিপোর্ট যদি অন্য কেউ ফেসবুকের রিপোর্টিং অপশন ব্যবহার করে জানায়, তাহলে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হয়৷ এতে আত্মহত্যার চেষ্টায় থাকা মানুষটিকে বাঁচানোর একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়৷

বাংলাদেশে ফেসবুকের এই অপশন কতটা সক্রিয় ঠিক জানি না৷ আমি ফেসবুকের এসংক্রান্ত পাতায় গিয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কিত কোন তথ্য পাইনি৷ তাই আমার মনে হয়, আত্মহত্যা প্রবণতা রিপোর্টের অপশন বাংলাদেশেও ভালোভাবে চালু করা উচিত৷ তিন কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর নিরাপত্তায় কিছু না করে থাকার সুযোগ নেই৷

আর তরুণ প্রজন্মের প্রতি অনুরোধ, আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়৷ এটা করে নিজের সম্ভাবনাময় জীবনটা নষ্ট করা ছাড়া আর কিছু অর্জনের সুযোগ নেই৷ সুতরাং এই আহাম্বকি না করাই মঙ্গলজনক৷

আত্মহত্যা করেছেন মডেল সাবিরা হোসাইন। রাজধানীর মিরপুরের বাসায় তার মরদেহ পাওয়া গেছে। আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে একটি সুইসাইড নোট ও ভিডিও বার্তা দিয়ে গেছেন এ মডেল।


উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৪মে) ভোর ৫টার দিকে রাজধানীর মিরপুরে রূপনগরের বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মডেল সাবিরা হোসাইনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরআগে ফেসবুকে তিনি একটি সুইসাইড নোট পোস্ট করেন।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.