Sylhet Today 24 PRINT

রিপোর্টটি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে দেশের গোটা মিডিয়াকেই

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক |  ৩০ মে, ২০১৬

মাছরাঙ্গা টেলিভিশনে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নিয়ে করা আলোচিত-সমালোচিত প্রতিবেদনটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক ফজলুল বারী।

এই প্রতিবেদন দেশের গোটা মিডিয়াকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ফেসবুকে ফজলুল বারী লিখেন-
 
এদেশে মানে অস্ট্রেলিয়ায় সাংবাদিকতায় পড়ার সময় দেখেছি সবচেয়ে বেশি শেখানো হয় আইন। একজন সাংবাদিক কী করতে পারে কী করতে পারেনা সেটি বেশি শেখাবার বড় কারন এখানে মিডিয়ায় মালিকরা মামলায় পড়তে নারাজ। কারন এখানে মিডিয়ার বিরুদ্ধে মামলা মানে মিলিয়ন ডলারের বিষয়, সংগে লম্বা জেল! এখানকার ক্লাসে বসে মাঝে মাঝে ভাবতাম বাংলাদেশেতো সাংবাদিকতা করতাম না! বেত হাতে নিয়ে ঘুরতাম! লোকজন করাপ্ট বলে ভয়ে কিছু বলতে পারতোনা!

আরও পড়ুন : ‘আইএম জিপিএ ফাইভ’, ‘অপারেশন সার্চলাইট মানে- অপারেশনের সময় যে লাইট জ্বালায়’

এদেশে কোন স্কুলে যদি শিক্ষকরা বাচ্চাদের একটা ছবিও তোলে আগে অভিভাবকদের সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর নেয়া হয়। ওই ছবি তারা স্কুলের ম্যাগজিন-বুলেটিনে ছাপতে পারবে কীনা! অপ্রাপ্ত বয়সী কারো ইন্টারভ্যু কোন মিডিয়া করলে সেটি তার বিপক্ষে সামাজিক সমস্যা করতে পারে ভাবলে সেই ছবিটি এডিটিং'এ ঝাপসা করে দেয়া হয়। এটিই সাংবাদিকতার আইন এবং কমন সেন্স। মামলার কথা বাদ দিলাম, সাংবাদিকতা করতে গেলে এই কমন সেন্সের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এই কমনসেনস যাদের আছে তাঁরাই সাংবাদিকতায় আসেন এবং আসা উচিত।

মাছরাঙা টেলিভিশনের রিপোর্টটি যারা করেছেন, যাদের হাতে এটি এডিট-প্রচারের ব্যবস্থা হয়েছে তারা এটি ভুলেছিলেন কীভাবে সেটিই বড় প্রশ্ন। কারন সেখানে অনেক ভালো সিনিয়র সাংবাদিকরা কাজ করেন। কোমলমতি এই ছেলেমেয়েগুলোর কিন্তু জীবন শেষ। কেউ ঠিকমত মামলা করলে সংশিষ্টরা সমস্যায় পড়ে যাবেন।

আর রিপোর্টটিতে রোগের কারন না লক্ষণ নিয়ে ভাবা হয়েছে! গত কুড়ি পঁচিশ বছরে বাংলাদেশে যারা শিক্ষকতার পেশায় এসেছেন আছেন এদের সিংহভাগ কারা? শিক্ষক হওয়া কী তাদের এইম ইন লাইফ ছিলো? না অন্য কোথাও সুযোগ না পেয়ে না ঘুষ দিয়ে একটি চাকরি পেয়ে গেছেন? কাঁঠাল গাছেতো কাঁঠাল ধরে। আম নয়।

বাংলাদেশের কোন পেশাতে যোগ্যতার ভিত্তিতে লোক নিয়োগ হয়? এই দেশে এত মিডিয়া এত সাংবাদিক তাদের সবাই কী যোগ্য? খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু শুধুমাত্র উপস্থাপনার টেকনিকাল ত্রুটি আর গুরতর অপরাধজনিত ভুলের কারনে রিপোর্টটি উল্টো কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে দেশের গোটা মিডিয়াকেই! সরি!

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.