Sylhet Today 24 PRINT

‘অভ্যন্তরীণ শয়তানি তাই আরেকটু কষ্ট তোমাকে করতেই হবে ভাই রনি’

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক |  ২১ জুন, ২০১৬

গত ৭ মে ইউপি নির্বাচন চলাকালীন ইউপি নির্বাচন চলাকালীন অস্ত্র বহনের অভিযোগ ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিকে। তার এই কারাদণ্ডের বিরোধিতা করে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। তাদের অভিযোগ, চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজকে শিবির মুক্ত করায় মৌলবাদীগোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রে তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে।

এই নিয়ে প্রতিবাদ চলাকালীন সময়েই সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে তিনি  জামিন পেলেও তার বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি  অস্ত্র মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। ফলে মুক্তি মেলেনি রনির।

রনির মুক্তি না মেলায় প্রবাসী সাংবাদিক ফজলুল বারী বিষয়টিতে চট্টগ্রাম আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ইঙ্গিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন:

চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ নেতা রনিকে আমি চিনিনা। কিন্তু তাকে গ্রেফতারের পর যে প্রতিবাদ দেখেছি, তার পক্ষে এত নেতাকর্মীর মাঠে নেমে পড়া, লেখায় টের পেয়েছি সে কত জনপ্রিয়। এমনটি অনেকদিন ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মীর ক্ষেত্রে দেখা যায়নি! জনপ্রিয়তা বিষয়টা কিন্তু জোর করে বা মেকিপনা করে বানানো যায়না। ধরা পড়ে যায়। চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম। তিনি সংগঠনের, মাঠের ভাষা বোঝেন। সেখানে তিনি রনির ভক্ত অনুসারীদের কথা দিয়ে এসেছিলেন। এরপর শুরু হয় আইনি পন্থায় রনির মুক্তির উদ্যোগ। হাইকোর্টেও তার জামিন হয়। কিন্তু রনির যাতে মুক্তি না হয় সে খেলা চলে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের ভিতর থেকেই! দ্রুতগতিতে পুলিশকে দিয়ে রিপোর্ট দেয়ানো হয়! আওয়ামী লীগের এসব অভ্যন্তরীণ শয়তানি মোকাবেলা করে দলটির উপকার করা বা এটিকে কন্ট্রোল করা কঠিন! এটি শেখ হাসিনাও পারেন না, মোহাম্মদ নাসিমতো তারও ছোট! সরি প্রিয় প্রজন্ম রনি। আরেকটু কষ্ট তোমাকে করতেই হবে যে ভাইটি আমার।

অপর আরেক স্ট্যাটাসে চট্টগ্রামের স্থানীয় এক ছাত্রলীগ কর্মীর উদ্ধৃত তোলে ধরেছেন ফজলুল বারী। তাতে লেখা:

"আপনার জানার জন্য একটা কথা বলি। রনি মূলত নগর চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার রোষানলে পড়েছে। কারণ রনি সেই নেতার অনুসারী নয়। তাছাড়া, যারা এতদিন চট্টগ্রাম কলেজ-মহসিন কলেজ দখলে রেখেছিল তাদের সাথে অনেকদিন ধরে মাখামাখি-আপস করে চলেন সেই নেতা। রনি কলেজ দুটি উদ্ধার করায় নাখোশ হয়েছেন নেতা। জামায়াতের সাথে নেতার প্রেম পুরনো। তাছাড়া, নানা জনমুখি, ছাত্রবান্ধব কিছু কাজ করে রনি যেভাবে হাইলাইট হচ্ছিলেন নেতার জন্য সেটার অস্বস্তির। এসব মিলেই রনির রণেভঙ্গের সমস্ত আয়োজন।"


প্রসঙ্গত, গত ৭ মে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন চলাকালে হাটহাজারী উপজেলার চারিয়া এলাকায় একটি ভোটকেন্দ্রে পিস্তল ও সাতটি গুলিসহ নুরুল আজিম রনিকে আটক করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। পরে এ ঘটনায় হাটহাজারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল হক বাদী হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছেন।


ছাড়া ভোটের দিন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন নুরুল আজিমকে। সেই সাজা বহাল আছে।


টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.