Sylhet Today 24 PRINT

এবার ভাবুন আপনার কথা!

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক |  ২৬ জুন, ২০১৬

স্ত্রী হত্যার ঘটনায় এসপি বাবুল আক্তারকে মধ্যরাতে পুলিশের নিয়ে যাওয়া ও দিনভর নানা নাটকীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা। একজন পুলিশ সুপারের সাথে এই আচরণ করা হলে অন্যদের ক্ষেত্রে কি হবে এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি।

শনিবার ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে সাপ্তাহিক সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা লিখেন-

নিজের স্ত্রী হত্যা মামলার বাদী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। তার করা মামলার আসামীদের নাকি গ্রেপ্তার করেছে, তারই সহকর্মী পুলিশ সদস্যরা। সেই আসামীদের সনাক্ত বা সে বিষয়ে আইজিপি কথা বলবেন বলে, ওসি পুলিশ সুপারকে ডেকে বা ধরে নিয়ে গেল মাঝ রাতে। তারপর থেকে পরিবারের সঙ্গে পুলিশ সুপারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ফোন বাজে কেউ ধরে না। ওসি ফোন ধরে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সকালে জানালেন, বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার মানে সারা রাত এবং দিনের বিকেল পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ চলেছে। পরিবার এবং দুই শিশু সন্তানের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে। এর মধ্যে আবার সৃজনশীল গল্পবাদিকদের আগমণ ঘটানো হয়েছে। নিহত স্ত্রী, মায়ের চরিত্রে কালিমা লেপন সম্পন্ন করা হয়েছে।

স্ত্রী হারানো স্বামী, মা হারানো সন্তানদের জন্যে কি চমৎকার ব্যবস্থা!
এসবই নাকি স্বাভাবিক কার্যক্রম। একজন পুলিশ সুপারের সঙ্গে পুলিশের কার্যক্রম।

এর মধ্যে 'কিন্তু ' খুঁজতে যাওয়াটা নিশ্চয়ই অপরাধ। যা ঘটছে,তার সবই এখন বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অবশ্যই স্বাভাবিক।

এবার ভাবুন আপনার কথা!

 

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের এসপি বাবুল আক্তারের পরিবারের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বের হয়, শুক্রবার (২৪ জুন)  মধ্যরাতে শ্বশুরের বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তাকে তোলে নিয়ে গেছে।

পুলিশের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কিছু জানানো না হলেও সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, "কয়েকজন আসামীর মুখোমুখি করে বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে"।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.