Sylhet Today 24 PRINT

ভারতে মুসলিমরা প্রতিরোধ করে, বাংলাদেশের হিন্দুরা করে না!

বন্দনা কবীর |  ১৮ নভেম্বর, ২০১৬

নাসিরনগর সহ সারা দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের চেয়ে অনেক অনেক বেশি শক্ত গাইবান্ধার সাঁওতালদের মেরুদণ্ড।

তারা না খেয়ে থেকেও সরকারের লোকের লোভের কোপে সর্বহারা হয়ে সেই সরকারের দেওয়া ত্রাণ ফেরত দেওয়ার, দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্রীয় লেঠেল পুলিশ বাহিনী-প্রশাসনের গুলি-বন্দুকের বিপরীতে তীর-ধনুক নিয়ে যুদ্ধে নেমে যাওয়ার সাহস রাখে।

নিজের ভিটেমাটি রক্ষা করতে যুদ্ধ করে জীবন দিয়ে দেয়। যেমন দিয়েছিলো ১৯৭১ এর মুক্তির যুদ্ধেও।

বিপরীতে,
৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করা হিন্দুরা পরবর্তীতে যুদ্ধ করাই ভুলে গেছে।

প্রতিবার মার খেয়ে 'আমরা সংখ্যালঘু, 'আমাদের কি অতো সাহস করার শক্তি আছে?' 'আর তো দেশে থাকা যাবেনা' 'এই দেশ কি আমাদেরও না?' - টাইপের ন্যাকা ন্যাকা নাকি কান্না শুরু করে না দিলে আজকে হিন্দু ধর্মীয় জনসংখ্যা ৩৪% থেকে ৩% এ নেমে আসতো না।

যে যাই কারণ দেখাক, হিন্দু সম্প্রদায়ের মার খাবার জন্য তারা নিজেরাই দায়ি।

আমাকে কেউ মারতে আসলে আমি কমসে কম তা ঠেকানোর সামান্য হলেও তো চেষ্টা করবো নাকি? ভারতের মুসলিমরা যেমন করে। পাঁড় হিন্দুরা তাদের কোপাতে এলে উলটে কুপিয়ে দেয় কতগুলোকে। এদেশের হিন্দুরা সেটা করার সাহস কখনোই করে নাই। শুরু থেকেই শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে নাই। মার খেয়ে মার দেয় নাই। মার খেয়ে কান্নাকাটি করে 'বিচার করেন' বলেছে, নয় তো কানতে কানতে গাট্টি বোঁচকা বেঁধে ইন্ডিয়া না হয় অন্য দেশে পালিয়ে বেঁচেছে। এই কারণেই এখনো মার খাচ্ছে। এবং অবশ্যম্ভাবিভাবে যতদিন এই দেশে থাকবে ততদিন মার খাবেও। আমরা কজন চেঁচিয়ে কিছুই করতে পারবোনা। আর সরকার কিছু করতে চাইলে তো বহু আগেই করতো।

সাহস বস্তুটা সবার মধ্যে থাকেনা। সৎ আর সরল লোকের গা ভরা থাকে এই জিনিস। যা আছে সাঁওতালদের।
[ফেসবুক থেকে]

  • বন্দনা কবীর : কবি।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.