Sylhet Today 24 PRINT

বিবর্ণ রাজনীতিতে এমন রঙিন মানুষ আর হবে না

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক |  ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মারা গেছেন।

তাঁর মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লেখক হাসান মোরশেদ ফেসবুকে লিখেছেন-

বিদায় নিলেন 'দাসপার্টির খোঁজে' র আরেক উজ্জ্বল চরিত্র।

লিখেছিলাম ' সিদ্ধান্ত হয় যে কোন মূল্যে শেরপুর, সাদিপুর জয় করে সিলেটের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ইতিমধ্যে সংগ্রাম পরিষদের ছাত্র-জনতার সাথে অস্ত্র হাতে যোগ দিয়েছে বিভিন্ন থানার পুলিশ ও সীমান্ত ফাঁড়ির ইপিআররা। দিরাই শাল্লার তরুণ এমপি
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তও নৌকা লঞ্চভর্তি রসদ নিয়ে এগিয়ে এসেছেন শেরপুর মুক্ত করার যুদ্ধে।

৯ এপ্রিল বিমান হামলা শুরু হলে সিলেটে শহরের আবার পতন হয়, শেরপুর ও দখল হয়ে যায়, সুনামগঞ্জের ও পতন ঘটে পরে। ক্যাপ্টেন মুত্তালিব ফিরে যান ডাউকি, কয়েস চৌধুরী আগে থেকেই ওই অবস্থানে ছিলেন। শেরপুরের পতন ঘটলে বালাট হয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত শিলং এর দিকে চলে আসেন।

শরণার্থীর ঢল নামতে থাকে। বালাট শরণার্থী শিবির ও ইয়ুথ ক্যাম্প চালু করেন সুনামগঞ্জের এমএনএ দেওয়ান ওবায়দুর রাজা। ছাতকের বাঁশতলায় সেখানকার এমএনএ আব্দুল হক। সুরঞ্জিত ঘুরতে থাকেন টেকেরঘাট, বালাট, বাঁশতলা, ভোলাগঞ্জ, ডাউকি হয়ে শিলং পর্যন্ত। এদিকে কয়েস চৌধুরী ও ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে সব ধরনের যোগাযোগ রক্ষা করতে থাকেন। মুলতঃ এঁদের কর্মতৎপরতাতেই পাঁচ নম্বর সেক্টর গঠিত হয়।

জুলাই মাসে মুজিবনগর সরকার মেজর মীর শওকতকে সেক্টর কমান্ডার করে পাঠানোর আগে কয়েস চৌধুরীই আনঅফিসিয়ালি সেক্টর সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন। টেকেরঘাট সাব-সেক্টর সরাসরিই সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের সৃষ্টি। এখানে পাঠানোর মতো সামরিক অফিসারের সংকট থাকায় সেন সাব-সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব ও পালন করেন, পরে মেজর মুসলেমউদ্দীন দায়িত্ব প্রাপ্ত হন'

তাঁর তীব্র কঠোর সমালোচনা ও করেছি। বইয়েই লিখে রেখেছি সেই সমালোচনা। আজ শেষ বিদায়ের দিনে সেইসব অনুচ্চারিত থাকবে। আজ কেবল শোক ও শ্রদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা শ্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। বিবর্ণ দিনকালে রাজনীতিতে এমন রঙিন মানুষ হয়তো আর হবে না।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.